আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

জাল টাকার মাফিয়া জাকির আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কদমতলীতে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ মাফিয়া জাকিরকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ শনিবার কদমতলীর দনিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিবি লালবাগ বিভাগের অভিযানে কদমতলীতে কারখানাসহ কোটি কোটি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় জাল টাকার মাফিয়া জাকিরকেও আটক করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান আছে।

সূত্র জানিয়ছে, এই কোটি কোটি জাল টাকা আসন্ন ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক পশুর হাটগুলোকে সরবরাহ করার চেষ্টা করছিল চক্রটি।

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান জানান, জাল টাকার বিষয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

২০১২ সাল থেকে এ কাজটি করে আসছিলো জাল টাকার অন্যতম পথিকৃত জাকির। বাগেরহাট, খুলনাতেও তার কারখানা ছিল। এক নারী ক্রেতার সূত্র ধরে এই কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। এই কারখানায় ভারতীয় মুদ্রাও তৈরি হতো। এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত আছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, আজ শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই দিন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে। আর কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, আগামী ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।


আরও খবর



বেনজীর-আজিজ আ.লীগের আসল চেহারা : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ আওয়ামী লীগের আসল চেহারা বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গত কিছুদিন পত্রিকা খুললেই বেনজীরের নজিরবিহীন দুর্নীতি। একইসঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান। তাকেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিয়েছে। আর তাদের তথাকথিত সংসদ সদস্যকে কলকাতায় নিয়ে টুকরো-টুকরো করেছে। এই হচ্ছে তাদের (আওয়ামী লীগের) চেহারা।

সোমবার (৩ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করে মহিলা দল।

এখন সেনাবাহিনীর অবস্থায় কোথায় এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, যখন তার সাবেক প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা কোথায় থাকে যখন তাদের সাবেক প্রধানকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়। কার সম্মান কোথায় থাকে। আজ এরা দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আজ পত্রিকায় দেখলাম পাবনায় ২টি গরু বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ টাকায়। এদিকে মানুষ ডিম কিনতে পারছে না। বাচ্চাদের ডিম দিতে পারছে না। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারছে না। অন্যদিকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনছে। এটা কেন? এই দেশের অর্থনীতিকে এমন জায়গা নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ধনীকে আরও ধনী করছে। আর গরিবকে আরও গরিব করছে।

আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সৈনিক জিয়ার ডাকে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এটাকে তারা মুছে ফেলতে চায়। আওয়ামী লীগ শুধু একজন মানুষকে মহিমান্বিত করার জন্য তাদের পুরো ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে। আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনো অস্বীকার করি না। কিন্তু কি করে অস্বীকার করা যাবে যার ঘোষণায় আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। যারা এটা করতে চায়, এটা যে তাদের রাজনৈতিক সংকীর্ণতা সেটা প্রমাণ হয়।

জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি করা বিএনপি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, তার আদর্শ সবচেয়ে বড়। এখানে আরেকজনের কথা বলতে চাই, তিনি হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। যুদ্ধের সময় ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন। আমি যখন তাকে বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বলি, তখন আওয়ামী লীগের গাজ্বালা করে। কারণ তাদের নেত্রী তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি। আমি কারো সমালোচনা করতে চাই না, যার যে অবদান সেটা স্বীকার করে নেওয়াই হচ্ছে মহত্ত্বের লক্ষণ।

আওয়ামী লীগ ১৯৭১-৭৫ সাল পর্যন্ত শাসনকালে ৩০ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, নারীর ওপর নির্যাতন করেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এখন তারা নারীর ওপর নির্যাতন করতে দ্বিধা করছে না। আজ যারা জেলে গেছেন, সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের অপরাধ কী? অপরাধ তো একটাই স্বাধীনতা চাই, কথা বলতে চাই, ভোট দিতে চাই। এখানে আওয়ামী লীগের আপত্তি, তারা এগুলো দেবে না।

প্রাথমিক স্কুলের বইতে সরকার মিথ্যা প্রচার করে চলছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, সেখানে একজনের নাম ছাড়া কারো নাম নেই। সেখানে তাদের নেতা তাজউদ্দীন আহমদের নাম নেই। জেনারেল ওসমানীর নামও নেই। কেউ নেই। এক নেতা, এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, এটাই তারা আজ প্রচার করছে। তারা দীর্ঘকাল ধরে দেশকে শোষণ করছে, দুর্নীতি করছে।

সভায় বক্তব্য দেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা কামাল প্রমুখ।


আরও খবর



২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য বাজেট কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

Image

আমরা জানি, স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ না করলে স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত করে চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা সহায়কদের গুণগত মান উন্নয়ন করে স্বাস্থ্য সেবায় আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব।

দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধিতে যথাসাধ্য অবদান রেখেছে। কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবার শক্ত ভিত গড়ে তুলতে পারলেই এই খাতে পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। বাংলাদেশে গত দুই দশকে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মোট জিডিপির ১ শতাংশেরও কম। যা মালদ্বীপে ৯.১৪% , ভারতে ১.১% , কিন্তু বাংলাদেশে ০.৪৭% । স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে সরকার জিডিপি ২% বরাদ্দ রাখলে ভালো হয়, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছে মোট জিডিপির ৫% -এ উন্নিত করা। অবশ্যই পাঁচটি মৌলিক অধিকারের একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য। সরকারের কাছে এই স্বাস্থ্য যদি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হয়, তাহলে স্বাস্থ্য খাতে অবশ্যই বাজে বৃদ্ধি করা উচিত বলে আমি মনে করি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪০০ বিলিয়ন টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হলেও তা অপ্রতূল। কারণ মূল বাজেট ৮ লাখ কোটি টাকা - এর ১০% এর থেকেও ৪০০ বিলিয়ন টাকা অনেক কম। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বাজেটে জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে ১০% বরাদ্দ রাখার দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। এমতাবস্থায় গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৯ হাজার কোটি টাকা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ছিল এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট এর পরিমাণ ছিল ৩৮ হাজার কোটি টাকা।

দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইকুইপমেন্ট দেখাশোনার জন্য বায়ো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন। এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ। চিকিৎসা সেবা, মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য আলাদা অতিরিক্ত বাজেট দেয়া প্রয়োজন। ব্যাসিক সাবজেক্টে শিক্ষক-স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে হবে। এক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্তদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে।

দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ কমিউনিটি ক্লিনিক এর ধারণা জাতিসংঘের প্রশংসা অর্জন করেছে। ৭০টি দেশে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের ধ্যান-ধারণা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ৩০টি ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের এই স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহায়তা প্রদান করতে হবে। এছাড়া উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তুলতে হবে। হেলথ কার্ড এবং স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতকে আরো উন্নত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অটোমেশনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন।

বাজেট বাড়ানো এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা করে এবং বাজেট সমন্বয়ের সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। অর্থাভাবে ইমার্জেন্সি সেবা দেওয়া না গেলেও স্বায়ত্তশাসন দেয়া প্রয়োজন। সীমিত বাজেট থাকা সত্ত্বেও, অপচয় ও দুর্নীতি রোধ করে দক্ষতা বাড়িয়ে বাজেটের অর্থ সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব - এ ব্যাপারে সামগ্রিক কৌশলগত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আরও বেশি শক্তিশালী এবং গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে সুদৃঢ়করণ করে বাংলাদেশেই যেন সকল রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। সহজে যেন কেউ বিদেশে চিকিৎসা করার ব্যাপারে আগ্রহী না হয়, এ বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য কেউ যেন চিকিৎসা বঞ্চিত না হয় তার জন্য বিশেষ স্কিম চালু করা প্রয়োজন। এই বাজেটেই  এ সম্পর্কে নতুন নির্দেশনা আসলে ভালো হয়।

বারবার পাঁচবার নির্বাচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, সমুদ্র বিজয়, মহাকাশ বিজয়, কর্ণফুলী টানেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল এর ফলাফল পুরো জাতির কাছে দৃশ্যমান। তবে মানুষের চোখের আড়ালে রয়ে গেছে স্বাস্থ্য খাতে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নিতকরণ। মাতৃমৃত্যু - শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, MDG Award, Women Empowerment Award, South South Award সহ ১৬ টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার স্বাস্থ্যখাতে অর্জন করা গেছে, যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সফলতা।  কমিনিটি ক্লিনিক "দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ" হিসেবে জাতিসংঘে সমাদৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ ৫টি মেডিকেল স্থাপন করা হয়েছে, যাতে করে দেশের সকল রোগী দেশেই চিকিৎসা নিতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, ক্যান্সার, চক্ষু ও অন্যান্য সকল চিকিৎসা কম খরচে দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে ভিশন সেন্টার চক্ষু চিকিৎসায় অবদান রাখছে। কম খরচে মৌলিক চাহিদা পূরণ ও অসংক্রমুখ রোগ সমূহ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। পুষ্টি উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসূচক সমূহ ব্যাপক অগ্রগতি করা গেলে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পূর্বশর্ত স্মার্ট স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে হাসপাতালে কনসাল্টেন্ট নিয়োগ, উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত কন্সাল্টেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নত করা প্রয়োজন।

সুস্থ জাতি শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার মূল চালিকাশক্তি। আগামী ২০২৪-২৫ বাজেটে মূল বাজেটের ১০% স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। যা চিকিৎসা সেবায়, স্বাস্থ্য শিক্ষায় ও গবেষণা উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে উপজেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য প্রদান করা সম্ভব হবে। দেশের অগ্রগতি উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে, স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বৃদ্ধির বিকল্প নাই।

লেখক: সদ্য সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়; ও সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন।


আরও খবর



প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশনের 'প্রত্যয় স্কিমে'র প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওয়াতামুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা।

সোমবার (৩ জন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের সামনে বটতলায় প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় উপস্থিত কর্মকর্তারা বলন, প্রত্যয় স্কিম অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত ভাতা পাবে, যা বর্তমানে চালু থাকবে না। একজন সচিব ঠিকই অবসরের পর ভাতা পাবে কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা থাকবে না। এমনই বিভিন্ন অসঙ্গতিপূর্ণ বৈষম্যমূলক এই সিস্টেম বাতিল করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রত্যয় স্কিমের আওতামুক্ত রাখতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র। প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বজনীন পেনশন ঘোষণা করেন তখন এই প্রত্যয় স্কিম অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অবনমন করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের ফলেই এটি হয়েছে। আমরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে আহবান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের পহেলা জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা যোগদান করবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্বজনীন পেনশনের সর্বশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত করতে হবে। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



শেরপুরে নৌকা ডুবে দুই ছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলাতে নৌকা ডুবে দুই ছাত্রের মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলী গ্রামে।

নিহতরা হচ্ছেন, কান্দুলী গ্রামের ছোরহাব আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন মিল্টন (২১) সে রংপুর মেডিক্যালের ছাত্র ছিল। অপরজন ওই গ্রামের সাদা মিয়ার ছেলে আমানুল্লাহ আমান (২৩) তিনানী ডিগ্রী কলেজের ছাত্র।

ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ৭ বন্ধু মিলে কাল্দুলী নলাডুবি বিলে নৌকা ভ্রমণে যায়। একপর্যায়ে বিলের মাঝখানে নৌকাটি ডুবে গেলে পানিতে ডুবে ওই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর

আরও খবর