আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

মিউজিক্যাল রূপেও অনবদ্য ‌মুঘল-ই-আজম

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় নির্মাতা ফিরোজ আব্বাস খানের মাথায়ই পরিকল্পনাটা আসে প্রথম। ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‌মুঘল-ই-আজম-এর মিউজিক্যাল হাজির করার পরিকল্পনা। ২০১৬ সালে সাপুরজি পালোনজি গ্রুপের প্রযোজনায় সফলভাবেই সামনে আসে ‌মুঘল-ই-আজম-এর নতুন রূপ। বলিউড দ্বিতীয় দফায় মুগ্ধ হয় ‌মুঘল-ই-আজম নিয়ে। ২০১৭ সালে সাতটি পদক ঝুলিতে ওঠায় মিউজিক্যালটি।

সর্বশেষ শো অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে দাঁড়ায়। সম্প্রতি আবার ফিরছে মিউজিক্যাল। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে মুম্বাইয়ে কয়েকটি শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মাসেও নতুন শোয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নাট্যরূপে এমন সময়ে সামনে আসছে, যখন ভারতে কট্টর ডানপন্থী প্রচারণায় বেশ জোরেশোরে প্রকাশ পাচ্ছে ইসলামোফোবিয়া। অস্বীকার করা হচ্ছে ভারতের ইতিহাসে মোগলদের অবদান।

কে আসিফ পরিচালিত মহাকাব্যিক সিনেমা মুঘল-ই-আজম। অভিনয়, সংগীত, সংলাপের বাক্যবিন্যাসের জন্য বিপুলভাবে সমাদৃত হয় সিনেমাটি। প্রবেশ করে সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায়। তবে এবারের উপস্থাপনও নজরকাড়া। ডেভিড ল্যান্ডারের আলোকসজ্জা, মনীশ মলহোত্রার কস্টিউম ও উর্দু ডায়ালগের অভূতপূর্ব সমন্বয়। নওশাদের স্কোর আর শাকিল বাদাউনির লিরিক জীবিত হয়ে উঠেছে পুনরায়। মধুবালার পরিবর্তে আনারকলির চরিত্রে রয়েছেন নেহা সারগাম ও প্রিয়াংকা বার্ব। ময়ুরি উপাধ্যায়ের কোরিওগ্রাফিতে নায়িকাদের নৃত্যে তাল মিলিয়েছে লতা মুঙ্গেশকারের ‌ পেয়ার‌ে কিয়া তো ডরনা কিয়া

১৯২২ সালে ইমতিয়াজ আলি তাজের লেখেন ‌আনারকলি নাটক। গল্প মূলত আনারকলির কিংবদন্তিকে ঘিরে। মোগল সম্রাট আকবরের ছেলে সেলিম আনারকলির প্রেমে পড়েন। সম্রাট আকবরের অস্বীকৃতি, আনারকলির অবাধ্যতা আর পুত্র সেলিমের বিদ্রোহ প্রকাশিত হয়েছে শক্তিশালী বাক্য আর গানের মাধ্যমে। সেই নাটককেই চলচ্চিত্রে রূপান্তরের কাজ হাতে নেন কে আসিফ। ১৯৪০-এর পুরো দশক নিয়ে তৈরি করেন মুঘল-ই-আজমের ভিত্তি। ডায়ালগগুলোকে সাজানো হয়েছিল পার্সি নাটকের ধাঁচে। কে আসিফের সেই সিনেমাকে আরো ব্যঞ্জনাময় করে তুলতে চেয়েছেন ফিরোজ আব্বাস খান। নিজের প্রচেষ্টাকে গণ্য করতে চান শেকড় স্পর্শ করার সুযোগ হিসেবে।

ফিরোজ আব্বাস খান তুমহারি অমৃতা, সালগিরাহ ও সেলসম্যান রামলাল নাটক উপহার দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। ‌মুঘল-ই-আজম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‌এমন কাজের চিন্তা আসার সময়েই মুঘল-ই-আজমের কথা আমার মনে আসে। গল্পটা দুর্দান্ত। লেখার দিক থেকেও উঁচু মানের সাহিত্য। তার চেয়ে বড় কথা সিনেমাটির শেকড় থিয়েটার। আনারকলি নাটক আগেও কয়েকবার সিনেমায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। সিনেমার গঠন আর পরিবেশনও পার্সি নাটকের ধাঁচে। ফলে একে নাটকে রূপান্তর করাটা তুলনামূলক সহজ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এর গানগুলো। কথা আর সুর উভয়ই এক কথায় অসাধারণ। যেন একটা যথার্থ অ্যালবাম। প্রতিটা গানই স্মরণীয়। গল্পের বক্তব্যে মুনশিয়ানার সঙ্গে গেঁথে দেয়া হয়েছে যেন।

মুঘল-ই-আজম যা দেখায়, তাকে ইতিহাস বলা যায় না। তবে সাহিত্যিক নিদর্শন হিসেবে সবার আগে স্মরণীয়। আকবর দায়িত্বের কথা বলে। সেলিম বলে ভালোবাসার কথা। অন্যদিকে আনারকলি যেন একটা সাম্রাজ্যের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার পেছনে এটাও একটা কারণ। চলচ্চিত্রটির সৌন্দর্যের বড় একটা অংশ হলো তার ভাষার বিশুদ্ধতা। সিনেমাজুড়ে মনোমুগ্ধকর উর্দু ডায়ালগ। নাটকে তা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। তবে দর্শকের সুবিধার জন্য স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে অনুবাদ।

নিউজ ট্যাগ: মুঘল-ই-আজম

আরও খবর



সিভাসুর গবেষকরা তৈরি করলো প্রোটিনসমৃদ্ধ কাঁঠালের চিপস

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাজারের হরেক রকম মুখরোচক চিপসের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে মানুষ যখন দুশ্চিন্তায়, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা জাতীয় ফল কাঁঠাল থেকে তৈরি করলেন প্রোটিনসমৃ্দ্ধ চিপস।

সিভাসুর ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের তত্ত্বাবধানে তৈরি প্রোটিনসমৃদ্ধ এই চিপস ১০০ গ্রামের প্যাকে পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে স্থাপিত সিভাসু ফুড আউটলেট

সিভাসুর এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রধান ও কাঁঠালের চিপসের প্রধান প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুল হক জুয়েল বলেন, 'আমাদের খাদ্য তালিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। কিন্তু বাজারে প্রচলিত যেসব চিপস পাওয়া যায় তা মূলত কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ। কাঁঠাল যেহেতু প্রোটিনসমৃদ্ধ ফল, তাই চিপসের মাধ্যমে মানুষের প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করার প্রয়াসে আমাদের এ উদ্যোগ।

তিনি আরও বলেন, কাঁঠাল একটি দ্রুত পচনশীল মৌসুমি ফল। কিন্তু এই চিপস তৈরির ফলে কাঁঠালের অপচয় যেমন রোধ হবে, তেমনি সারাবছরব্যাপী কাঁঠালের পুষ্টিও পাওয়া যাবে। এছাড়াও অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ চিপসে যেখানে অ্যাক্রিলামাইড (কারসেনোজেনিক পদার্থ-যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়) থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে, সেখানে এই কাঁঠালের চিপসে অ্যাক্রিলামাইড থাকার চান্স একেবারেই নগন্য।

চিপসটি সম্পর্কে সিভাসুর কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল বলেন, কাঁঠাল একটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মাঝে কাঁঠাল খাওয়ার প্রতি অনীহা দেখা যাচ্ছে। আশাকরি, কাঁঠালের চিপসের মতো এমন আরো নতুন নতুন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে এই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফলটি মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতার বলেন, 'খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের মানুষের পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা চেষ্টা করে আসছি। আর কাঁঠাল থেকে প্রোটিনসমৃ্দ্ধ চিপস তৈরি আমাদের সেই প্রচেষ্টারই অংশ। আশাকরি, ভবিষ্যতেও আমরা উদ্ভাবনী ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের মানুষের পুষ্টির নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখতে পারবো।

সম্প্রতি সিভাসু ফুড আউটলেট-এ প্রোটিনসমৃদ্ধ এই চিপসের যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল। ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অব ফুড সেফটি অ্যান্ড নিউট্রিশন) প্রফেসর ড. শিরীন আক্তার, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস এবং পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস. কে. এম. আজিজুল ইসলাম।


আরও খবর



কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে ফের উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে ফের উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কোটা বাতিল চেয়ে বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। 

রোববার (৯ জুন) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কলাভবন, মলচত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই, কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, কোটা না মেধা, মেধা মেধা, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই'- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।


আরও খবর



পাকিস্তানে তীব্র তাপপ্রবাহ, ছয় দিনে ৫ শতাধিক মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গত ছয়দিনে পাকিস্তানে ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একদিনেই প্রায় দেড়শো জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র করাচি শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, সেখানে অনুভূত তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পাকিস্তানের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সংস্থা বলছে, তারা করাচি শহরের মর্গে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের লাশ নিয়ে যায়। তবে গত ছয় দিনে তারা প্রায় ৫৬৮ টি লাশ সংগ্রহ করেছে। গত মঙ্গলবারই তারা সংগ্রহ করেছে ১৪১টি লাশ।

করাচির সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ সংবাদবাদ মাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, হাসপাতালটিতে গত রোববার থেকে বুধবারের মধ্যে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়া অধিকাংশের বয়স ৬০ বা ৭০ এর কোটায়। 

এদিকে উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে করাচির বাসিন্দারা কার্যত লড়াই করছে। শহরটিতে নিয়মিত লোডশেডিংয়ের ফলে নগরবাসীর জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। 

করাচি ছাড়াও গত মাসে পুরো সিন্ধ প্রদেশে প্রায় রেকর্ড ৫২.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয়।

পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও অতিমাত্রার তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত মে মাস থেকে সেখানে প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে আবার কখনও কখনও তা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো নিয়মিত এবং তীব্র হয়ে উঠছে। করাচির এই তীব্র তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ মঙ্গলবার (১১ জুন)। ২০০৮ সালের এই দিনে সংসদ ভবন চত্বরে তৎকালীন ১/১১ সরকারের স্থাপিত বিশেষ কারাগারে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তিলাভ করেন তিনি। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এরপরই চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে।

আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চাপপ্রয়োগের পথ বেছে নেয়। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেওয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেয়। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়েই শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

এরপর ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হয়। ২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার মতো আপসহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় রাজনীতিতে যাত্রা শুরু হয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার। জনগণের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। তাকে অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে। সব বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় উজ্জ্বল এ দেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আরও খবর



দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নাই: বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি বলেছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, প্রবলমাত্রায় ঘনঘন ঝড়বৃষ্টি সহ নানা কারণেই বিশ্বের মানুষ হুমকির মধ্যে রয়েছে। বায়ুদূষণ, শব্দ দূষণ, পানি দূষণ, স্থালভাগ/মাটি দূষণের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তামাক চাষ, ধূমপান, কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়া পরিবেশকে দূষিত করছে। এ অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নাই। ভারসাম্যপূর্ণ সুন্দর পরিবেশই রক্ষা করতে পারে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে। তিনি দেশ ও দেশের মানুষকে দূষিত পরিবেশকে বাঁচাতে একযুকে কাজ করার আহবান জানান এবং বেশী বেশী করে গাছ লাগানোর নিদের্শ দেন।

বুধবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নাজমা পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ রানা, ডিআইজি অফিস সিলেট রেঞ্জ এর পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) হোসাইন মো. আল জুনায়েদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সনাক সদস্য, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. আব্দুস শহীদ প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট সিলেটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাংকন, রচনা ও স্লোগান প্রতিয়োগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।


আরও খবর