আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

পাবনায় ওসির অপসারণের দাবিতে আ.লীগের হরতাল ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার আটঘরিয়ায় উপজেলা পরিষদে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আটঘরিয়া থানা পুলিশের ওসি হাদিউল ইসলামকে অপসারণে দাবিতে আগামী বুধবার (১২ জুন) আটঘরিয়ায় অর্ধদিবস হরতাল ঘোষণা করে।

রোববার (৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আটঘরিয়া বাজার হয়ে থানার সামনে দিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে নেতাকর্মীরা পাবনা-চাটমোহর মহাসড়ক অবরোধ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম রতন বলেন, আটঘরিয়া থানার ওসি হাদিউল ইসলাম আটঘরিয়ার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন। তার প্রত্যক্ষ মদদে কিছু সন্ত্রাসী আটঘরিয়ায় যা ইচ্ছে তাই করছে। উনার পছন্দ না হলে উনি কোনো মামলা নিতে চায় না। ওসির সাথেই সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এই ওসিকে আটঘরিয়ার মানুষ চায় না। তার অপসারণের দাবিতে আগামী ১২ জুন আটঘরিয়ায় অর্ধদিবস হরতাল পালিত হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দেবোত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাইমিন হোসেন চঞ্চল বলেন, আটঘরিয়ায় যোগদানের পর থেকেই আটঘরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বরং সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে নিরপরাধ নেতাকর্মীদের নামে হয়রানি করছেন।

নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, নির্বাচনের দিন আমি বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম কিন্তু আমাকে নির্বাচনের দিন প্রতিপক্ষের অফিস ভাঙচুরের আসামি করা হলো, তাও ১০ দিন পর!  আটঘরিয়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুয়েলের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর এবং নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করা হলো, তারা এখনো হাসপাতালে ভর্তি। সেই জুয়েলের নামে যখন মামলা দেওয়া হলো সেই জুয়েলের অভিযোগের ভিত্তিতে আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হলো। আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলাকে প্রভাবিত করতেই আমার নামে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে আটঘরিয়ার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম বলেন, আমার অপসারণের বিষয়টি তাদের রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে। কেন তারা আমার অপসারণ চাচ্ছেন তার সুস্পষ্ট কারণ যদি উল্লেখ্য করতে পারেন তাহলে আমি আপনাদের সেই বিষয়ে বলতে পারব। আমি চেইন অফ কমান্ডে কাজ করি। তাই আমি বিশ্বাস করি, আমি যে কাজগুলো করেছি তার যথাযথ আইন দিকগুলো মেইনটেন করেই করেছি। আমি কারো প্রভাবে প্রভাবিত নই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং আইন যেভাবে বলে আমি সেইভাবেই কাজ করি।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী প্রার্থী তানভীর ইসলামের ৫ সমর্থককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ ওঠে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক জুয়েলসহ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর গতকাল শনিবার (৮ জুন) প্রধান অভিযুক্ত জুয়েলের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামসহ কয়েকজনের নামে নির্বাচনের দিন জুয়েলের কার্যালয় ভাঙচুরের মামলা দায়ের হয়।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হত্যার হুমকি দিচ্ছে : আয়ানের বাবা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে মারা যাওয়া শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ অভিযোগ করেছেন, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ইউনাইটেড গ্রুপ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমকি দিচ্ছে। একাধিকবার বাসায় সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সেজন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান তিনি।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়ান হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

শামীম আহমেদ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এই পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা বিচারের আওতায় আনা হয়নি। বিএমডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরস্পর যোগসাজশ করে দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আয়ানের মৃত্যুর পর ইউনাইটেড হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছিল। যা ছিল কেবল লোক দেখানো। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইউনাইটেড হাসপাতালকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করছে।

আগামী ৭ দিনের ভেতর অভিযুক্ত দুই ডাক্তার সাঈদ সাব্বির ও তাসনুভা মাহজাবিনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব যে এই ঘটনার বিচার পাবো। যদি ৭ দিনের ভেতর অভিযুক্ত দুই ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবো। ইউনাইটেড হাসপাতালের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করবো।

আয়ানের বাবা আরও অভিযোগ করেন, বাড্ডা থানা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চারটি তথ্য বারবার চাহিদা পত্র দেওয়া হলেও সেগুলো জানানো হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ, ডিবি, ডিজিএফআই সকলেই আমাদেরকে একটি গোলকধাঁধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা একটি পক্ষকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করছে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার বিচার প্রার্থনা করছি। যদি আমার ছেলে হত্যার বিচার না পাই তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারও হবে। তাই আমি সবার প্রতি অনুরোধ জানাই যেন বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিশু আয়ানের দাদা সালাম কবির। তিনি বলেন, আমরা যেন এই মামলার থেকে সরে আসি সেজন্য বারবার সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে আমার সুস্থ নাতিকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে আমরা আমরা অনশন কর্মসূচি পালন করবো।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সুন্নাতে খতনার (মুসলমানি) জন্য আয়ানকে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার অভিভাবক। সকাল নয়টার দিকে শিশুটিকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। তবে অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেসথেসিয়া (জেনারেল) দিয়ে চিকিৎসক আয়ানের খাতনা করান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে জ্ঞান না ফেরায় তাকে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় ২ ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ।


আরও খবর



ধামরাইয়ে সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, এলাকাবাসী আতঙ্কে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে সাপের কামড়ে তহিরন নেছা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তবে কোন সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের কাচা রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তহিরন নেছা আগজেঠাইল কাঁচা রাজাপুর গ্রামের মৃত মজিবুরের স্ত্রী ।

নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, নাতনীর বিয়ে উপলক্ষে সকালে আদা-রসুন ব্লেন্ডার করছিলেন তহিরন নেছা। হঠাৎ পাশের ঝোপ থেকে এসে একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

আমতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, সাপটি রাসেল ভাইপার কিনা তা আমরা সঠিক জানতে পারিনি। তবে পাশের সাটুরিয়ার এলাকায় ও ধামরাইয়ের জালসা এলাকায় রাসেল ভাইপারে দেখা পাওয়ার খরব পাওয়া গেছে। সাপের কামড়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকা জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা জানান, রাসেল ভাইপার সাপ আতঙ্ক সারা দেশেই প্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। আমরাও তার বাইরে নই। তাই তা দ্রুত প্রতিহত করতে সরকারি ভাবে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ের রোগীদের এন্টিভেনম রাখার অতি প্রয়োজন।


আরও খবর



পল্টনের ফায়েনাজ টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর পল্টনে ফায়েনাজ টাওয়ারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পাঁচ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিটের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পল্টনে ১৫তলা ফায়েনাজ টাওয়ারের পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সুন্দরবন প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাছ, বন্যপ্রাণীর বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রম সুরক্ষায় তিন মাসের জন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ঢোকার অনুমতি বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় সুন্দরবনে পর্যটকবাহী বোটসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এ সময় মাছ ও কাঁকড়া আহরণও বন্ধ থাকবে।

শনিবার (১ জুন) পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সময় পর্যটকবাহী বোটসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এবং নতুন করে কাউকে প্রবেশ পাস দেয়া হবে না।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, এরআগে সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে সুন্দরবনে ঢোকার সব ধরনের পাস। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, জুন থেকে পরবর্তী তিন মাস সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির তাগিদে মন্ত্রী পরিষদ এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে তিন মাস সুন্দরবন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে সুন্দরবন তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য নতুন করে কাউকে পাস (অনুমতি পত্র) দেয়া হবে না। একই সঙ্গে বন বিভাগের নিয়মিত স্মার্ট পেট্রোলিং টিম তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে। এবং সুন্দরবনের ভিতরের অফিসগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা প্রতিদিন তাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রাখবে।’

উল্লেখ্য, সুন্দরবনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম চলছে।


আরও খবর



শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত করা হয় ম্যাচটি। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় সুসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সুপার এইটে যেতে এখন সহজ সসমীকরণের সামনে টিম টাইগার।

বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এই ম্যাচে জয় পেলে সেরা আটের পথে এক পা দিয়ে রাখবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় টানা তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বুধবার (১২ জুন) ফ্লোরিডার লডারহিলে বাচা-মরার ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। টানা দুই ম্যাচে জয়হীন লঙ্কানরা মাঠে নামার সুযোগ পেলো না। পুরো সময়টাই বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছে। আর তাই এই ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩ ম্যাচ ১ পয়েন্ট নিয়ে কার্যত বিদায় হয়ে গিয়েছে তাদের।

টানা বৃষ্টির কারণে খেলা হওয়া তো দূরের কথা, টসও গড়ায়নি মাঠে। ম্যাচ বাতিল করার জন্য অবশ্য আরেকটু অপেক্ষা করার সুযোগ ছিল দায়িত্বরত আম্পায়ারদের। তবে লডারহিলের মাঠে ড্রেনেজ সিস্টেম তেমন ভালো না হওয়ায় বেশিক্ষণ আর অপেক্ষা করেননি তারা। এমনকি ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত আসায় লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউডকে বেশ অনেকটা সময় নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায় আম্পায়ারদের সঙ্গে।


আরও খবর