![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/53ae8035558fc9cd391621e8ffd510f6.jpeg)
চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাসরত প্রায় ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখায় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
সোমবার (২৫ মে) নগরের বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। নগরের আকবরশাহ ঝিল ১, ২ ও ৩ নম্বর এলাকা, বিজয়নগর পাহাড়, শান্তিনগর পাহাড়, বেলতলীঘোনা পাহাড় থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
শনিবার রাতে জেলা প্রশাসক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে করেন। এসময় তিনি আকমল আলী ঘাট, রাসমনি ঘাট, ১ নং ঝিল সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শনের চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন "আমরা এক হাজারের অধিক আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি এবং সেখানে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করেছি যেন আশ্রয় নেওয়া জনগণ দুর্ভোগে না পড়েন।"
তিনি বলেন, পাহাড়ে যাতে মানুষকে আর প্রাণ দিতে না হয় সেজন্যে কাজ করছি। মাইকিং থেকে শুরু করে সবাইকে সচেতন করার জন্য জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে। শনিবার থেকে ঝুকিপূর্ণ পাহাড়গুলো থেকে ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্যে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতিবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি।'
পরে আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি।
পাহাড়ে বসবাসরত জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধি, ভলান্টিয়ারদের জোর তাগিদ দেন। এসময় তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া জনগণের বাড়ি-ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, আনসার বাহিনীকে নির্দেশনা দেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ছয়জন সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। এতে পাহাড়ে বসবাসরত মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭৮৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও ১১৪০ টি বিদ্যালয় ও নয়টি মুজিব কেল্লা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, মোমবাতি, ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন মজুদ রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আশ্রিত লোকের সংখ্যা ১০৪৬ জন, গঠিত মেডিকেল টিমের সংখ্যা ২২১টি এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ৬৯৬টি।