আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাজশাহী-৬: নৌকার প্রচারে ৩৪ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে চারঘাট উপজেলার ১৬ ও বাঘা উপজেলার ১৮ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক গত বৃহস্পতিবার এসব প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ বাতিল করতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজশাহীর চারঘাটের শলুয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, রাওথা কলেজের অধ্যক্ষ নাদের হোসেন, চারঘাট মহিলা কলেজের জেষ্ঠ্য প্রভাষক শরিফুল ইসলাম আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন। অথচ দুদিন আগেও তাঁরা নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চালিয়েছেন। তাঁদের প্রচারণার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘুরছে।

চারঘাটের নন্দনগাছী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াহেদুল ইসলাম ও বাঘার মীরগঞ্জ কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন। ওয়াহেদুল ইসলাম চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি এবং আবুল কালাম আজাদ চারঘাটের ভায়ালীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সক্রিয় কর্মী হিসেবে দুজনেই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রতিনিয়ত প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এদিকে সরদহ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাইদুর রহমান ফেসবুকে নৌকার প্রার্থীর সাথে ছবি দিয়ে লিখেছেন জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা

এই ছয়জনসহ চারঘাট ও বাঘা উপজেলার ৩৪ জন শিক্ষকের একটি তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রাহেনুল হক। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপজেলাভিত্তিক পৃথক দুই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, ওই ৩৪ জন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছেন কিংবা ছিলেন। এমনকি এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।

রাহেনুল হক তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি কিছু সুবিধাভোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তাঁরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের আশঙ্কা আছে। তিনি ওই কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন।

চারঘাট উপজেলার ৬২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মধ্যে লিখিত অভিযোগে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করেছেন রাহেনুল হক। তাঁরা সবাই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। ১৬ জনই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাঘার ৬৭ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে।

অভিযোগে নাম থাকা বাঘার মীরগঞ্জ কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক। তিন দিন আগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। তাঁর আগে নৌকার প্রচারণায় অংশ নিয়েছি। প্রশিক্ষণে আমাদের বলা হয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এর পর থেকে আমি আর প্রচারণায় যাইনি।

অভিযোগের বিষয়ে চারঘাটের রাওথা কলেজের অধ্যক্ষ নাদের হোসেন বলেন, আমি নৌকার সমর্থক। শিক্ষকেরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না, এ ধরনের আচরণবিধির কথা জানা ছিল না। এজন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হওয়ার আগে প্রচারণা চালিয়েছি। এমন অভিযোগ হতে পারে এজন্য আগেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে চারঘাট উপজেলার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।

তবে কেউ প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাননি বলে নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ তোলা আমাদের ১৬ জন শিক্ষক প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ১২ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। অন্য ৪ জনকে রিজার্ভে রাখা হয়েছে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

অভিযোগের বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে এখনো তদন্ত চলমান আছে। তবে যেসকল প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাবে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হবে।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শামীম আহমেদ বলেন, চারঘাট-বাঘার প্রিজাইডিং অফিসারের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টির তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



যে দক্ষতা থাকলে চাকরি হারানোর ভয় নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এসে চাকরির বাজারে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তাই নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে আপডেট থাকাটা খুবই জরুরি। এতে করে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা কমবে। সেই সঙ্গে নতুন চাকরি পাওয়ায় তুলনায় সহজ হয়ে যাবে।

প্রযুক্তির উদ্ভাবনে কাজের সময় আর কর্মপদ্ধতিতেও নানা পরিবর্তন আসতেই পারে। এ পরিবর্তন মেনে নেওয়া ও তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও মানসিকতা আপনার থাকতেই হবে। তা থাকলে কঠিন পরিস্থিতিতেও টিকে থাকতে পারবেন আপনি।

অনেক কাজই অদূর ভবিষ্যতে অটোমেটেড হয়ে যাবে, প্রযুক্তির আধুনিকায়ন ঘটবে, নিত্যনতুন প্রযুক্তির প্রয়োগও হবে। সেসব প্রযুক্তি যদি দ্রুত শিখে নেওয়া না যায়, চাকরির বাজারে টিকে থাকা ততোই কঠিন!

ধরা যাক, কেউ কোনও একটা কাজ খুব ভালো পারে। কিন্তু ওই একটা কাজের জন্য তার চাকরিতে টিকে থাকার সম্ভাবনা খুব উজ্জ্বল নয়! কিন্তু যদি অন্য আরেকজন যদি তিনরকমের তিনটি কাজ খুব ভালো পারে, তাহলে তার টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার চোখে ওই মাল্টি ট্যালেন্টেড ব্যক্তির গুরুত্বও বেশি।

তাই শুধু একটা কাজেই নিজেকে বন্দি করে রাখা উচিু নয়। নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের দিকে মন দেওয়া উচিত।

ভবিষ্যৎ যতই প্রযুক্তিনির্ভর হোক, মনে রাখতে হবে যন্ত্র কখনও মানুষকে ছাপিয়ে যেতে পারে না! তাই সৃজনশীলতা, নতুন অভিনব ভাবনাচিন্তা কখনোই পুরোনো হওয়ার নয়। নতুনভাবে কাজ করা, নতুন আইডিয়া, এ সবই চিরন্তন।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এদিন সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। তখন আসামি করা হয়েছিল ১৩ জনকে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।


আরও খবর



বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল (১৭ মে) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রতিপাদ্যের ওপর শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ক গ্রুপে অনুর্ধ্ব ৮ বছর; খ গ্রুপে ৮ থেকে অনুর্ধ্ব ১২ বছর; গ গ্রুপে ১২ থেকে অনুর্ধ্ব ১৬ বছর এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন গ্রুপে অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশু কিশোররা অংশগ্রহণ করে।

৪ টি গ্রুপের প্রতি গ্রুপে ৩ (তিন) জন করে বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। বিজয়ী প্রতিযোগিদের নাম ২১ মে শিল্পকলা একাডেমির নোটিশ বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.doe.gov.bd- এ প্রকাশ এবং টেলিফোনে জানানো হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ বলেন, পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তরুণেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি বলেন, শিল্পকর্মগুলো প্রকৃতির গুরুত্ব এবং আমাদের পরিবেশ রক্ষার জরুরি প্রয়োজন তুলে ধরেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোর কর্তৃক আঁকা ছবি মূল্যায়ন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, শিল্পী সৈয়দ আবুল বারক আলভী, শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম, উপপরিচালক খন্দকার রেজাউল হাশেম প্রমুখ।


আরও খবর



জয়পুরহাটে ট্রাক্টর-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে ট্রাক্টর-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন ধানকাটা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কের দাদড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত কৃষি শ্রমিকরা হলেন- জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের জীতেন বর্মন ও বড় মানিক গ্রামের ইদ্রিস আলী।

আহতরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার সালুয়া গ্রামের মৃত উতিন বর্মনের ছেলে সুনীল বর্মন (৪৫) একই গ্রামের আসির উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল (৪৩) তোনসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪৫)।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হুমায়ুন কবির এ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নওগাঁ জেলার রানীনগর এলাকা থেকে ধান কেটে কয়েকজন শ্রমিক সিএনজিতে করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। দাদরা নামক এলাকায় অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।

তিনি জানান, এতে আহত হন আরো চারজন। তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাটের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ১০৮ বার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৮ বার পেছাল। আগামী ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি জানিয়েছেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।


আরও খবর