আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রামগঞ্জে সাউথ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় চুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
Image

রামগঞ্জ(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের এজেন্ট শাখায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৩ জুন) দিবাগত রাতে ইছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে ব্যাংকের দরজার গ্রীল কেটে চুরির ঘটনা ঘটে।

এ সময় ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকাসহ অনেক আসবাবপত্র নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন এজেন্ট শাখার মালিক লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ গোফরান।

এজেন্ট শাখার পরিচালক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর কয়েকদিন বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আমি প্রতিদিনই ব্যাংকে বসতাম। সোমবার বিকেলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষে শাখা বন্ধ করে বাড়ি চলে আসছি। আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে এসে দেখি দরজার গ্রীল কাটা, তালা ভেঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকা, দুইটি সিলিং ফ্যান, একটি পানির পাম্প, একটা টেবিলসহ আবসাবপত্র নিয়ে গেছে। এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে অফিসের বিভিন্ন কাগজপত্র। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এজেন্ট শাখার মালিক লক্ষ্মীপর-১ রামগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ গোফরান জানান, এটি খুবই দুঃখ্যজনক। এলাকায় চুরির উত্তাপ একটু বেড়ে চলছে। চুরির সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা গেলে এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বাজেট: বোতলজাত জুসের দাম বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের বোতল ও প্যাকেটজাত জুসের ওপর কর বাড়ানোর দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে। এসব পণ্যের ওপর মূসক কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

বাজেটে বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আদায় ও কর পরিপালন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমসত্ব (ম্যাংগো বার), ম্যাংগো জুস, আনারসের জুস, পেয়ারার জুস, তেঁতুলের জুস, ১ থেকে ৫০ ওয়াটের অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব, টিউব লাইটের (১৮ ওয়াট ও ৩৬ ওয়াট) স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসকের হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে গ্রামে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিসের কাজ বা কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ছাড়ছেন আজ।

এদিকে, যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলোও দূরের পথের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন রুটে ছুটছে। এতে ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কমে গেছে। ফলে যানজটের নগরী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, বিজয়সরণি আগারগাঁও, সায়েন্সল্যাব, শ্যামলী, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

দুপুর থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ধীরে গাড়ি চলছে।

শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থেকে রামপুরা রুটে বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে ছির উপচেপড়া ভিড়।

নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা। গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে।

সায়েন্সল্যাবে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা সাভার পরিবহনের চালক আজিজুল বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি। এছাড়া বাকি রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।

এদিকে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: ঈদুল আজহা

আরও খবর



দেশে ফিরেছেন ৩ হাজার ৯২০ হাজি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে নিজ নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। গত দুইদিনে প্রায় চার হাজার হাজি দেশে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। শনিবার (২২ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই হজ হয়। হজ শেষে ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত ১০টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন মোট তিন হাজার ৯২০ জন।

হেল্পডেস্কের তথ্যমতে, বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি সৌদির কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর ছেড়ে আসে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়। পরদিন তিনটি বিমান সংস্থার আরও ১০টি ফ্লাইট হাজিদের নিয়ে দেশে ফিরেছে।‌ আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। গত ৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২১৮টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৬টি, সৌদিয়া এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৭৫টি ও ফ্লাইনাসের ফ্লাইট ৩৭টি।

অন্যদিকে সৌদি আরবের মোট ৩৫ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। সর্বশেষ যশোরের অভয়নগরের মো. শহিদুল ইসলাম (৪৯) নামে একজন হজযাত্রী মারা গেছেন।

মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ৭ জন। মক্কায় ২৮ জন, মদিনায় ৪ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।


আরও খবর



২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই: সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভাইস চ্যালেন্সর ৮০ টি এবং ৩৫ টি ট্রেজারার পদ শূন্য আছে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ১১৪ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমিত দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১০৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।

স্বতন্ত্র এমপি মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সারা দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। তবে, কওমী মাদ্রাসাসমূহ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের কারিকুলামে চলছে না। এ লক্ষ্যে সমন্বিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং কওমী মাদ্রাসা সংক্রান্ত বর্তমানে পৃথক পৃথকভাবে পরিচালিত ৬টি বোর্ডকে সমন্বিত করে একটি কওমী শিক্ষা বোর্ড গঠনের বিষয়টি সরকারের পর্যালোচনাধীন আছে।

ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, দেশে ৭৩ টি কৃষি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে বিভাগে সর্বোচ্চ ১৯ টি এবং সিলেটে বিভাগে সর্বনিম্ন ২টি কৃষি কলেজ রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে ৩টি, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ৬টি করে, রাজশাহী বিভাগে ১১টি ঢাকা ও খুলনা বিভাগে ১৩টি করে কৃষি কলেজ রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে আধুনিক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। যাতে কৃষি, মৎস্য, প্রাণি সম্পদ বিষয়ে আধুনিক ট্রেড অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে করে পৃথকভাবে কৃষি কলেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই দেশের জেলা সমূহে নতুন করে কৃষি কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নেই।

নাটোর-৪ আসনের সরকার দলীয় এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণ ভাতায় পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সমস্যার উত্তরণে কমিটি গঠন করেছে। কমিটি এখন তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৬১৩ টি।

এম লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। সে জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যায় যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নকল সার্টিফিকেট যারা চাকরি করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে কি না বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড জাল সার্টিফিকেট শনাক্তের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (IICT) বিভাগের সঙ্গে গত ১২ মে চুক্তি করা হয়েছে। উক্ত বিভাগের বিশেষজ্ঞগণ ইতিমধ্যে জাল সার্টিফিকেট শনাক্তের কার্যক্রম শুরু করেছেন। শনাক্তের পর প্রাপ্ত সকল জাল সার্টিফিকেট বাতিল এবং জাল সার্টিফিকেটধারীদের তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৬৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চালু

চট্টগ্রাম ১১ আসনের সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ৬৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজ নাথের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ৫০ জনেরও কম শিক্ষার্থী আছে এমন স্কুলের সংখ্যা ৯৪৪ টি।


আরও খবর



আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছেন : মোমেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতিকে সরকারের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রধান প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি গত ১৬ বছর ধরে যেভাবে ধরে রেখেছেন তা বিশ্বের বিস্ময়। বর্তমানে তার এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলো যথা সময়ে শেষ হয় না। ফলে খরচ বাড়ে, জনগণের হয়রানি বাড়ে। আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছেন এবং তাতে জনগণের হয়রানি বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে মোমেন বলেন, এই অল্প সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ আমলাদের জন্য সারা আমলাতন্ত্র বদনামের ভাগীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এই বাজেটে দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার বন্ধের নির্দেশনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক হবে। সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি। কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে।

সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে, মাঠে ময়দানে সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। সাধারণ নাগরিক এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। তাই তারা সবাই জাতির আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, সাধারণ নাগরিকের মধ্যে বড় প্রশ্ন রয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। অধিকতর কর্মসংস্থান, রাজস্ব বৃদ্ধি ও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও প্রশাসনের হয়রানি নিয়ে জনগণের নানা প্রশ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মক্ষম লোক বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা সৃষ্টি সাধারণত প্রাইভেট সেক্টর করে থাকে। সেজন্য তাদের যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। এবারের বাজেটে ঘাটতি মেটানোর জন্য ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

মোমেন বলেন, ইতোমধ্যে অনেক ব্যাংকের বেহাল অবস্থা। বাজেটে এর প্রতিকারের কথা থাকলে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতো। বরং কালো টাকাকে শতকরা ১৫ % কর দিয়ে সাদা করার ঘোষণায় যারা সৎ করদাতা তারা হতাশ হয়েছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগের পরিমার্জন প্রয়োজন বোধ করি।

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অর্জনে, সাদাকে সাদা, কালকে কালো না বললে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অবিচার করা হয়। অর্থমন্ত্রী বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে যা যা করা প্রয়োজন তা করবেন বলে বিশ্বাস করি।


আরও খবর