আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে উত্তর কোরিয়া সফর শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আজ বুধবার (১৯ জুন) প্রেসিডেন্ট পুতিন দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছেছেন। ক্রেমলিন এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

আজ খুব ভোরে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর পুতিনকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান। দুই নেতা হাত মেলানোর পর একেঅন্যকে আলিঙ্গন করেন। এরপর দুপাশে রাশিয়ার পতাকা দিয়ে সাজানো রাস্তা ধরে পুতিনের মোটর শোভাযাত্রা এগিয়ে চলে।

গত ২৪ বছরের মধ্যে বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশটিতে এটাই পুতিনের প্রথম সফর। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলতে থাকা সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সফর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই পিয়ংইয়ং ও মস্কো ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং এই মিত্রতা আরও বেড়ে গেছে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের সময় থেকে। এ সময়টাতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে পুতিন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে যে, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়ায় প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে।

তবে উত্তর কোরিয়া সামরিক হার্ডওয়্যার সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও সম্প্রতি পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার জন্য কিম সরকারকে ধন্যবাদ জানান। গতকাল মঙ্গলবার পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট লেখেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া যে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে তার জন্য রাশিয়া দেশটির প্রশংসা করছে।

ভ্লাদিমির পুতিন আরও লেখেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া কার্যকরভাবে বিভিন্ন দিকে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করছে।

দুটি দেশের বিরুদ্ধেই চলছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা চলছে ২০০৬ সাল থেকে দেশটির পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে। আর মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চলছে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে।

পুতিন পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে বলা হয় এই সফরের মাধ্যমে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক ব্যাপক উন্নতির এক নতুন ধারায় প্রবেশ করেছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই সফরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রয়েছেন।


আরও খবর



স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথ সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এক কথায় বলতে পারি, সংগ্রাম, সাফল্য ও সংস্কৃতির বর্ণিল প্রতিভাসের নাম আওয়ামী লীগ। দুটি পর্বে আমাদের এই সংগ্রাম, আন্দোলন, অর্জন উন্নয়নকে যদি ভাগ করি একটি অংশে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা কেন্দ্রাতীত শক্তি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পলাশীতে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে সে সূর্য আবার উদিত হয়েছিল। উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথকে সামনে রেখে।

তিনি বলেন, জনগণের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়ে প্রতিরোধের দাবানল ছড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংগ্রাম, আন্দোলন মুক্তি সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর পর একাত্তরের ৭ মার্চ যা বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম স্বাধীনতা বিজয়ী আমরা হয়েছি কিন্তু আমাদের মুক্তির স্বপ্ন তখনো বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তির যে সংগ্রাম তা ব্যাহত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে জিয়াউর রহমান নিঃশেষ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ সব কিছুই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত। ঐতিহাসিক ৭ জুন ছিল না, ৭ মার্চ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিষিদ্ধ। জয়বাংলা ছিল নিষিদ্ধ। তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঘুরে বেড়াতো বুক ফুলিয়ে জিয়াউর রহমানের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে। কারাগারে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়ার পরে এরশাদ, এরশাদের পর বেগম খালেদা জিয়া একুশ বছর ধরে আমরা অন্ধকারে ছিলাম। একুশ বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ছিল নির্বাসনে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বিজয়ের নায়ক, স্বাধীনতার স্থপতিকে বাদ দিয়ে উদযাপন করা হতো।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অন্ধকারে আশার আলো হয়ে এসেছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। তিনি এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুত্থান হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন বাংলাদেশের জন্য সারা পৃথিবীতে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বব্যাংককে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। আমাদের সামর্থ্যের প্রতীক, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক এই পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবারি গভীর সমুদ্র বন্দর, স্যাটেলাইট, ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা, ছিটমহল সমস্যার সমাধান এসব অর্জন বঙ্গবন্ধুর কন্যার।

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরে অর্জন কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অর্জনের কথা আমরা বলবো না। ৭৫ বছরে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, আমরা আমাদের রক্তের মূল্যে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করবো। আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বিএনপি, মুক্তিযুদ্ধের নামে এরা ভাওতাবাজি করে। আমাদের সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের আজকে শপথ এই অভিন্ন শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। পরাভূত করতে হবে। আমাদের বিজয়কে আমরা সুসংহত করবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবো।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির সফর নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা নিয়ে এসেছেন সেটা নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যাননি। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে এখানে যা বলার দরকার কোনো কিছু বলতে সংকোচ করেননি। ভুলে যাননি।


আরও খবর



কোরবানির ঈদকে ঘিরে শেরপুরে মসলার বাজার অস্থির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে উৎসবের আমেজ আসতেই অস্থির হয়ে উঠেছে শেরপুরের মসলার বাজার।ঈদকে কেন্দ্র করে মসলা ব্যবসায়ীরা জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে ৩-৪ মাস আগেই। ঈদের আগ মসলার দাম বড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। মসলার আকাশচুম্বী দামে পুড়ছে তাদের পকেট। হঠাৎ করেই মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই পছন্দের খাবার তৈরি করতে অসুবিধায় পড়ছেন। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

শেরপুরের নয়ানী বাজারে মসলা কিনতে আসা জাকির হোসেন বলেন, সব মসলার দাম বেশী, এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ কোথায় গিয়ে দাড়াবে?

এনজিও কর্মী ইমন জানান প্রতি কেজি মসলা ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাল-ডাল-আটাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা। অথচ ধানের মূল্য কম।

মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, পিয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, হলুদ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরাতে ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, গতসপ্তাহে এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ভালো মানের বড় এলাজ প্রতি কেজি ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়, লবঙ্গের দাম বেড়েছে প্রায় ১ হাজার টাকা। প্রতি কেজি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০০/৯০০ টাকায়। গোলমরিচ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও দারচিনি ৭০০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা,কালিজিরা ৪০০ টাকা, কিসমিস ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা, সাদা সরিষা ৩০০ টাকা, এ সবের কেজি প্রতি ৮০- ১০০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও ডলারের দাম বাড়ায় মসলার দাম বেড়েছে। তাদের দাবি মসলার দাম বাড়ছে ২কারণে। প্রথমত. দেশে চলছে ডলার সংকট, ডলারের অভাবে এলসি করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত. আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। অথচ কোরবানির মসলা ২-৩ মাস আগে থেকেই মজুত করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভোক্তাগণ।

ঝিনাইগাতি মসলার বাজারের ক্রেতা আলহাজ শাহজাহান আকন্দ ও আলহাজ সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির আগে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা আয়ের জন্য মসলার দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা জানেই কোরবানীর ঈদে মসলা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। কোরবানির গোশত খাওয়ার জন্য সবাইকে মসলা কিনতেই হবে। তারা সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করছে। সিজনাল সময়গুলোয় চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখা উচিত। অথচ তারা করছে উল্টো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মসলা ব্যবসায়ী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু মসলার দাম বেড়েছে। মসলাকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ পণ্য আমদানিতে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয় মহাজনদের। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় মসলার বাজার চড়া। এ কারণে এলাচসহ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। আমরা অল্প করে মসলা কিনে আনি। অল্প লাভেই বিক্রি করি। দাম বাড়ে পাইকারি কিনতে গিয়ে। মসলা বিক্রেতারা বলেন, এই মসলা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার ব্যবসায়ীরা ডলারসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। তাই বেশি দামে কিনে-বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কোরবনীর ঈদে পর্যাপ্ত মসলার প্রয়োজন হয় ও আমদানি করা হয়। ভারত থেকে জিরা ও এলাচ এবং ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও গুয়েতেমালা থেকে লবঙ্গ ও দারচিনি আমদানি করা হয়।

এব্যাপারে অনেক ক্রেতা বলেন, ঈদের চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

পূর্বে এসব দেশে উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাত দেয়া হলেও বর্তমানে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এ সমস্যায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কজন ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

নিউজ ট্যাগ: মসলা

আরও খবর



পিরোজপুরে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মামি-ভাগ্নি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া-মঠবাড়িয়া সড়কের ইকড়ি বাসস্ট্যান্ডে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইকড়ি বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ৪ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ ইকড়ি গ্রামের আবু হাসান হাওলাদারের স্ত্রী ঝুমাইয়া আক্তার (৩২) ও আবু হাসান হাওলাদারের শ্যালিকার মেয়ে হাওয়া (৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ ইকড়ি গ্রামের আবু হাসান হাওলাদার তার স্বজনদের চট্টগ্রামগামী বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য সড়কের পাশে বাসের অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় মঠবাড়িয়া থেকে আসা মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগের কাজে নিয়োজিত একটি পিকআপ ভ্যান বেপরোয়া গতিতে তাদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অন্তঃসত্বা ঝুমাইয়া বেগম ও শিশু হাওয়া আক্তার নিহত হন।

এ সময় আহত হন- ইয়াসিন (৫), মায়া বেগম (৩৫), হাফিজা আক্তার মিষ্টি (২৮), আবু হাসান হাওলাদার (৩২)। আহতদের প্রথমে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। গাড়িটির চালক তোফায়েল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। আটক তোফায়েল সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার তুয়ার ডাঙ্গা গ্রামের মোত্তালেব গাইনের ছেলে। এ ঘটানায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



প্রাক্তন স্বামীকে প্রশংসায় ভাসালেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওপার বাংলার অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। অভিনয়ের মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিলেন স্কুলজীবনের বন্ধু শাক্যকে। তবে ২০২৩ সালে এ দম্পতির আইনি বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

কর্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডে থাকেন শাক্য। বিয়ের পর বছরখানেক সেদেশেই সংসার করেছেন শোলাঙ্কি। কিন্তু অভিনয় ছেড়ে থাকতে পারেননি বেশি দিন। এই ভৌগোলিক দূরত্বই ঘর ভাঙার কারণ দুজনের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন স্বামীকে প্রশংসায় ভাসালেন শোলাঙ্কি।

শোলাঙ্কি বলেন, আমার প্রাক্তন স্বামী দুর্দান্ত একজন মানুষ। আমাদের আজও যোগাযোগ আছে। কথা হয়। আমার মনে হয় ডিসট্যান্স আমাদের সম্পর্কে (ভাঙার ক্ষেত্রে) একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে।

জানা যায়,  মুম্বাইয়ে একসঙ্গে থাকতেন এ তারকা জুটি। যদিও নিজেদের প্রেম নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হলে বারেবারে ভাল বন্ধু হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন সোহম-শোলাঙ্কি। অভিনেতা সোহমের সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে শোলাঙ্কি জানান, তারা খুব ভালো বন্ধু। সময় হলে প্রেমের বিষয়ে কথা বলবেন।

এর আগে শাক্য সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে শোলাঙ্কি বলেছিলেন, আমার প্রাক্তন স্বামীর মতো মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ও একজন অসাধারণ মানুষ। আর এটা আমি বলার জন্য বলছি না। এটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি। যখন দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকবে ভাবে, তারা চায় সেটা সফল হোক।

এ অভিনেত্রী বলেন, অনেক সময় দুজন মানুষ খুব ভালো হলেও তারা ওই সময় একসঙ্গে থাকার জন্য ঠিক চয়েসটা নয়। সেটাই আমার ক্ষেত্রে মনে হয়েছে। একজন খারাপ মানুষের সঙ্গে না থাকাটা অনেক সহজ। ওই সময় জীবন থেকে চাহিদাগুলো অনেক আলাদা ছিল। ছোট ছিলাম খুব প্রেম ছিলাম মনে হয়েছিল একসঙ্গে থাকতে পারব।

নিউজ ট্যাগ: শোলাঙ্কি রায়

আরও খবর



দিল্লিতে মোদি-শেখ হাসিনা বৈঠক

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় বারের মতো দায়িত্ব নেয়ার পরপরই সোমবার (১০ জুন) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বৈঠকে শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই দেশে একই সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় পারস্পারিক সম্পর্কের মাত্রা আরও দৃঢ় হবে। যার মাধ্যমে উপকৃত হবে উভয় দেশের মানুষ।

এছাড়া রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেয়ার পরই নরেন্দ্র মোদীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় দুই নেতা একে অপরের খোঁজ খবর নেন। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান নরেন্দ্র মোদি, যোগ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুরের দেয়া নৈশভোজে।

এর আগে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, এক্ষেত্রে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি ভারতের নজরে আনা হয়েছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার দেশে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়ায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির সাথে তার বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই নেতা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা ছাড়াও; সৌহার্দ্য বিনিময় ও অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করেন।


আরও খবর