আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ভারতের নতুন সেনাপ্রধান হচ্ছেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের সেনাবাহিনীর পরবর্তী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ সি পান্ডের স্থলাভিষিক্ত হবেন। উপেন্দ্র দ্বিবেদী বর্তমানে বাহিনীটির ভাইস চিফ অব আর্মি স্টাফ। মঙ্গলবার নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। খবর এনডিটিভির

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সেনাপ্রধান হিসেবে ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল নিয়োগ পান মনোজ পান্ডে। গত ৩১ মে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়। তাই ৩০ জুন বর্তমান সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে অবসরে যাবেন। আর সেদিনই ভারতের সেনাবাহিনীর পরবর্তী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

পরবর্তী সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ অব আর্মি স্টাফ এর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে নর্দান কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ পদে কাজ করেন তিনি।

উপেন্দ্র দ্বিবেদি ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রায় চার দশক ধরে কর্মরত উপেন্দ্র দ্বিবেদি জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলস রেজিমেন্ট থেকে ১৯৮৪ সালে সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড পেয়েছিলেন।


আরও খবর



অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ নেই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

ঈদের ছুটির তৃতীয় দিনেও বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যানবাহন চলাচল করছে। ওই পথে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি এই মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে যোগে অনেকে পরিবারের সদস্যদের নির্বিঘ্নে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারছে। শনিবার ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে যানবাহনের জটলা বা যাত্রীদের কোন বিড়ম্বনা দেখা যায়নি। নিবিঘ্নে এবারো  মহাসড়ক হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে যানবাহনগুলো। পদ্মা সেতুর দক্ষিণবঙ্গ অভিমুখের টোল প্লাজায় ৭ টি বুথে নিরবচ্ছিন্ন টোল আদায় করা হচ্ছে। টোল আদায়ে প্রতি গাড়িতে সময় লাগছে মাত্র ৫-৬ সেকেন্ড।পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গেলো ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত)

পদ্মা সেতু দিয়ে পার হয়েছে ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন। এর থেকে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ ৩০ হাজার ১০০ টাকা।


আরও খবর



সেন্টমার্টিনে আমরা আক্রান্ত হলে জবাব দেবো: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সেন্টমার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবেএমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব তো আমরা দেবো। আমরাও প্রস্তুত।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ যেতে পারছে না। মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে, আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি নাগণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। যে কারণে তাকে মানবতার মা বলে অভিহিত করা হয়।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তার একটা ছোট অপারেশন হয়। সে সময় প্রতিদিনই তিনি সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করতেন। আমাদের পার্টি পর্যায়েও সাবধান করে দিতেনকোনো অবস্থাতেই যেন আমরা কেউ কোনো উসকানি না দেই। উসকানি দিলে যুদ্ধ হতে পারে, অন্য পক্ষ তো বসে থাকবে না। আমাদের আকাশসীমাও তারা দুএকবার লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও আমরা কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধৈর্য ধরেছিলাম এবং তখন সে অবস্থাটা আর বেশি দূর এগোয়নি। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যাটা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে।

তিনি বলেন, আজকে দুনিয়ার বিভিন্ন সংস্থা, বড় বড় দেশগুলো আমাদের প্রশংসা করে কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তাদের যে সাহায্যের পরিমাণটা ছিল, সেটা কিন্তু অনেক কমে গেছে। আমাদের এমনি অর্থনৈতিক চলমান সংকটে; আমরা নিজেরাই সংকটে আছি। আমাদের নিজেদেরই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেখানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা, যাদের সন্তান-সন্ততি হয়ে সংখ্যা বাড়ছে। এই বোঝাটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে অভিবাসীরা যায়, তাদের আশ্রয় দেয়।

কাদের বলেন, এখানে দুনিয়ার বড় বড় দেশগুলো, যারা এ সংকট নিয়ে আজকে কথা বলে; আমাদের তো লিপ সার্ভিসের দরকার নেই! দরকার এ বোঝাটা আমাদের কাঁধ থেকে সরিয়ে নেওয়া। সার্বিকভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, তিনি সর্বাগ্রে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেন।


আরও খবর



মাছ ব্যবসায়ীদের ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকায় এন এন ফিশ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইসমাইল মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাছ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন। নোমান ও সাগর কমিশনে তার ব্যবসার দেখাশোনা করতেন।

বিভিন্ন ব্যবসায়ীর প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালাচ্ছিলেন চট্টগ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (৩৯)। তিনি চট্টগ্রামের সদরঘাট স্ট্যান্ড রোডের এন এন ফিশ প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী।

রাজধানীর হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে তাকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) অর্ণব বড়ুয়া।

তিনি বলেন, এন এন ফিশ প্রতিষ্ঠানের মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (৩৯) বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়য়ীদের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা নিয়ে দুবাই পালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ হাবিব নামে এক মাছ ব্যবসায়ি তিন কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ তুলে তিনজনের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ইমিগ্রেশনে আবেদন করেছিলাম।

সদরঘাট থানার পরিদর্শক (ওসি) ফেরদৌস জাহান জানান, মাছ ব্যবসায়ী হাবিবের দায়ের করা মামলায় গত ৯ মে ভোরে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে ইসমাইলের কর্মচারী আল আমিন প্রকাশ নোমান (৩৯) ও ম্যানেজার কাউছার আহাম্মদ সাগরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান আসামি ইসমাইল এতোদিন পলাতক ছিলেন। ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইসমাইল কয়েক দফায় হাবিবের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকার সামুদ্রিক মাছ কেনেন। এর মধ্যে দুই দফায় ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পরিশোধ করার কথা ছিল। ওই দিন হাবিবের ম্যানেজার সাদ্দামকে টাকার জন্য পাঠালে ইসমাইলের প্রতিষ্ঠান এন এন ফিশের অফিস তালাবদ্ধ দেখতে পান। মুঠোফোনও বন্ধ করে দেন ইসমাইল। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি।

সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়িদের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার মাছ কেনেন ইসমাইল। এরপর থেকে তিনি পলাতক আছেন। পরে ব্যবসায়ীরা নোমান ও সাগরের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারাও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ওই মাসেই ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে সদরঘাট থানায় একটি মামলা করা হয়।


আরও খবর



জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের ওপর হামলার কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। গাজায় ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ব সংস্থাটি।

কালো তালিকায় ইসরায়েলের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান। তিনি সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম এক্সে বলেছেন, তিনি প্রজ্ঞাপন পেয়েছেন এবং এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হল বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। মাত্র এক ব্যক্তি আমাদের বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।”

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘের বার্ষিক চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ প্রতিবেদনে ইসরায়েলের তালিকাভুক্তির বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্য এমনটা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি আগামী ১৪ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

ডুজারিক বলেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ফোন কলটি দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। স্পষ্টভাবেই বলা যায়, এ ধরনের কিছু আমি আমার ২৪ বছরে এই সংগঠনের সাথে দায়িত্ব পালনকালে দেখিনি।”

সশস্ত্র সংঘাতে শিশুবিষয়ক জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় পক্ষগুলোর সম্পৃক্ততার’ তালিকা দেওয়া হয়। এতে হত্যা এবং আহত করার প্রমাণ এবং যৌন সহিংসতার তথ্য থাকে।

এই তালিকায় রাশিয়া, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাম রয়েছে। এছাড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-শাবাব, তালেবান, আল-কায়েদার মতো সংগঠনও আছে।

গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় ১৫,৫৭১ এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রতি ১০ ফিলিস্তিনি শিশুর ৯জনই ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে’ রয়েছে। ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা হু গত সপ্তাহে জানিয়েছে, গাজার প্রতি ৫ শিশুর ৪জনই প্রতি তিন দিনে অন্তত একদিন পুরো দিন না খেয়ে থাকে।’


আরও খবর



নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে এখন থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। তাছাড়া দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি) হবে, তাতেও এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনসিসিসির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এতে কিছু সংশোধনী আনার পরামর্শ দিয়েছে কমিটির সদস্যরা। সংশোধনীগুলো যুক্ত হলেই তাতে সই করবেন এনসিসিসির সদস্যরা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এনসিটিবি খসড়া একটি মূল্যায়ন কাঠামো প্রস্তুত করে এনসিসিসির সভায় উপস্থাপন করেছিলে। খসড়া কাঠামোটা মোটামুটি সবই ঠিক আছে। কিছু জায়গায় ছোট ছোট সংশোধনী আছে। সেগুলো খুব দ্রুত আমরা সংশোধন করে এনসিসিসির আরেকটি সভায় অবগত করবো।

অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আজকের সভায় প্রস্তাবিত মূল্যায়ন কাঠামো, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক থাকছে। এসএসসি পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও পরের শ্রেণিতে উত্তরণের বিষয়টিও থাকছে।

জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ অনুযায়ী- ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ প্রক্রিয়া চালু হবে।

২০২২ সাল থেকে নতুন এ শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে এনসিটিবি। প্রচলিত নম্বর ও গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিল করে প্রথমে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ দিয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতা মূল্যায়ন শুরু হয়। তীব্র সমালোচনার মুখে তা থেকে পিছু হটে সরকার। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গঠন করেন উচ্চপর্যায়ের কমিটিও।

সেই কমিটির মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্নপর্যায়ে মূল্যায়নের খসড়া চূড়ান্ত করে এনসিটিবি। পরে সেটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন মন্ত্রণালয় মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় উপস্থাপন করবে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন হলে সেটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। তবে দুইমাস ধরে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া মন্ত্রণালয়ে আটকা ছিল। অবশেষে তাতে অনুমোদন দিলো এনসিসিসি।


আরও খবর