আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বিশেষ ব্যবস্থায় ভ্যাকসিন নিচ্ছেন টাইগাররা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ বৃহস্পতিবার করোনার প্রতিরোধক টিকা দেয়া হচ্ছে টাইগারদের। বাকীরা এই টিকা পরে পাবেন বলেই জানিয়েছে বিসিবি।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় ভ্যাকসিন দেয়া হবে। তবে কাউকে জোরাজুরি করা হবে না। বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনও চাপ থাকবে না।

জানা গেছে- করোনার টিকা নিতে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তবে প্রথম পর্যায়ে নিউজিল্যান্ড সফরে যারা যাবেন, শুধু তাদেরকেই আজ টিকা দেওয়া হবে। এদিন নির্দিষ্টসংখ্যক খেলোয়াড়দের টিকা দেয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে আগামী শনিবার টিকা দেওয়া হতে পারে বাকি ক্রিকেটারদের। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্রিকেটারদের নাম সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে যারা তালিকায় নাম দিয়েছেন, তাদের টিকা দেওয়া হবে আজ।

এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী বলেন, আমরা আজ ক্রিকেটারদের টিকা দেব। তবে এটি প্রথম ধাপে। শুক্রবারের পর দ্বিতীয় ধাপে টিকা দেওয়া হবে বাকি ক্রিকেটারদের। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরার পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচিং স্টাফদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে বলেও জানান দেবাশিস।

তিনি আরও বলেন, আজ সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেবেন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটাররা। যদিও সবাই টিকা নিচ্ছেন না।

দেবাশিস চৌধুরী বলেন, টিকার জন্য আমরা একটা চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেছি। নিউজিল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াডের ৫ থেকে ৭ জন ক্রিকেটার টিকা নিচ্ছেন না। বাকিরা নিচ্ছেন। যারা নিচ্ছেন না, তারা কেন নিচ্ছেন না, এটা এখন পর্যন্ত জানি না।

এই পর্যন্ত অনেক ক্রিকেটারই টিকা নেওয়ার জন্য নাম দিয়েছেন। অনেকে এখনও দিচ্ছেন। কদিন আগেই জানা যায় যে, ২০-২৫ জন টিকার জন্য নাম লিখিয়েছেন তালিকায়। বর্তমানে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে যারা কেবল নিউজিল্যান্ড সফরে যাবেন, তারাই আজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে উদ্বোধনের আগেই দেবে গেল ৩০ লক্ষ টাকার ব্রিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা খেয়া ঘাটে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০০ মিটার কাঠের ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই দেবে গেলো।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, গত ২০২২/২০২৩ অর্থ্যবছরে কাগজ কলমে ব্রিজের কাজ শেষ হলেও ব্রিজের কাজ এখনো শেষ হয়নি। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ২০২২ সালের আগষ্ট মাস আর শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের মে মাসে। ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩০ লাখ টাকা। তবে ব্রিজ নির্মাণ না করেই কাজ সম্পন্ন দেখিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। বরাদ্দকৃত টাকা বিষয়টি স্থানীয় জনগণে নজরে আসলে উপজলা প্রকৌশলী অভিদপ্তরে খোঁজখবর করলে কাঠের ব্রিজের কাজ শুরু করেন। কাঠের ব্রিজ নির্ধারিত সময়ে কাজ না করে অসময় ব্রিজের কাজ শুরু করেন ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। ২০২২-২০২৩ এর এডিপির বরাদ্দে কাজটি পায় রানা এন্টারপ্রাইজ নামক গাইবান্ধার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে কাজটি ক্রয় করে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনথিয়া কন্ডাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

বর্তমানে কাঠের ব্রিজের কাজ প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ সস্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাত ১০টার দিকে সেন্টারিংয়ের সিসি পিলারের নিচের মাঠি সরে গিয়ে মাঝখানে ২ ফুট দেবে যায়। ফলে বেলকা এলাকার খেয়া ঘাটে নদীর উপর নির্মাণকৃত কাঠের ব্রিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে স্থানীয় জনগণ। তবে নদীতে একটু স্রোত বারলেই ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে যাবে।  ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ কোন কাজেই আসবে না। এতে একদিকে যেমন সরকারের ৩০ লক্ষ টাকা অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে কয়েকহাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ফলে নির্মাণকৃত ব্রিজ কোনও কাজেই আসছে না।

ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর গাফিলতিতে ব্রিজ নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বেলকা এলাকার বাসিন্দা সুরুজ্জামান বলেন, এর আগে এখানে কোনো ব্রিজ ছিলো না নৌকা দিয়ে পারাপার করা লাগতো। এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এবার একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে জেনে আনন্দিত হয়েছিলাম। এখন দেখছি নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই হেলে দেবে পড়েছে কাঠের ব্রিজ।

স্থানীয় জাহিদুল মিয়া বলেন, আমরা ব্রিজের কষ্টে আছি। ব্রিজ না থাকায় এলাকায় কেউ ছেলে মেয়ে বিয়ে দিতে চান না। যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে জমির দামও কমে গেছে। এবার যদি কাঠের ব্রিজ হচ্ছে তাহলে হয়তো একটু উন্নয়নে মূখ দেখবো এখন দেখি ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের গাফিলতিতে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই সেতুটি দেবে গেছে। সেতু দেবে যাওয়ায় আরও দুর্ভোগ বাড়ল।

বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে কাজটি শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো কথাই শোনেন না। এই মুহূর্তে ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় স্থানীয়সহ আশপাশের এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ আবার বেড়ে গেল। তিনি আরও জানান, এটা দুঃখজনক। সরকারি অর্থের অপচয় করার জন্য বাস্তবায়নকারীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাগির খাঁন বলেন, এই কাজটি রানা এন্টারপ্রাইজ নামক জেলা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি আমাকে করতে বলে তাই কাজটি আমি বাস্তবায়ন করি। তবে কাজটি গত জুনের আগেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, তিনি এই উপজেলায় যোগদানের পুর্বে এই কাঠের ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবিষয়ে তেমন কিছু জানিনা। তবে ব্রিজটি পিলার দেবে গিয়েছে এর উপর দিয়ে চলাচল এখন ঝুঁকি সম্পন্ন তাই চলাচল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিবেন।

তিনি আরও বলেন, কাঠের ব্রিজ নির্মাণের কাজ ঠিক ছিলো না। নির্মাণের নিয়ম অনুসারেই কাজ ব্যাপক অনিয়ম করেছে। সঠিক ভাবে ব্রিজে পিলার বসানো হয় নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল ইসলাম জানান, কাঠের ব্রিজ দেবে যাওয়ার বিষয়টি খুবেই দুঃখজনক। তবে একটি তদন্ত কমিটির  মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরগঞ্জ

আরও খবর



প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল ৪ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ সালের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৭ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। এটি গতবারের চেয়ে ৪ হাজার ২১২ কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা সার্ভিসে ৪০ হাজার ৮২ কোটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সার্ভিসে ১ হাজার ৮৮৬ কোটি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের জন্য ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার প্রতিপাদ্যে এ বাজেট বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।

জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট এটি।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ের সেই স্বর্ণের পাহাড়ের মাটি পরীক্ষায় নেমেছে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ঠাকুরগাঁওয়ের সেই স্বর্ণের পাহাড়ে মাটি পরীক্ষায় নেমেছে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটি পরীক্ষা- নিরিক্ষা করেন ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী।

গত এক মাস ধরে ওই ইউনিয়নের আরবিবি ইটভাটায় বিভিন্ন স্থান থেকে আনা মাটি খুড়লেই পাওয়া যাচ্ছে সোনা এ খবরে এলাকার লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কোদাল-বশিলা ও সাবল নিয়ে স্বর্ণের খোঁজে মাটি খুড়তে থাকে তারা। এভাবে মাটি খোঁড়া চলতে থাকলে উপজেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার অবনতি কথা চিন্তা করে শনিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং সেই স্থানে লাল ফ্লাগ উড়িয়ে দেওয়াসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

তবে সোনা পাওয়ার বিষয়টি কতটুকু সত্য তা যাচাইয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ ইটভাটার স্তুপের মাটি ও মাটি সরবরাহকৃত স্থানসহ অন্যান্য মাটি পরীক্ষা করতে মঙ্গলবার (২৮ মে) ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তরে আবেদন করেন।

পরবর্তীতে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর দুইজন সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) কে সোমবার থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত মাটির স্তূপ সহ অন্যান্য স্থানের মাটি পরীক্ষা, অনুসন্ধান ও স্ক্যান করে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য নির্দেশ দেয়।

এ বিষয়ে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, আমরা তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। এরপর এ মাটির নমুনা প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে জমা দেবো পরীক্ষার জন্য। তবে পরীক্ষার আগে কিছুই বলা যাবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ প্রমুখ।


আরও খবর



বেনজীরের পুকুরে চুরির সময় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জে জব্দ হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট থেকে চুরি করার সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুক্রবার (৮ জুন) রাতে এসব মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ মে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক রয়েছে। এরপর ২৬ মে একই আদালত বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোক, তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, উক্ত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্টে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হচ্ছে বলে দুদক কর্মকর্তারা খবর পান। বিষয়টি দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর দুদকের একটি টিম শুক্রবার সাভানা ইকো রিসোর্টে যান। এ সময় রিসোর্টের ভেতরে ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন তারা। দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। পরে তা নিলামে তুলে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোপালগঞ্জে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল সদর থানায় মামলা করেন। এতে রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

সার্ভার জটিলতার কথা বলে গত ৩ জুন থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের ঘোষণা করে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।


আরও খবর



পল্টনের ফায়েনাজ টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর পল্টনে ফায়েনাজ টাওয়ারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পাঁচ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিটের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পল্টনে ১৫তলা ফায়েনাজ টাওয়ারের পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর