দেশের স্থগিত
১৯টি উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু
হয়। যা বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে
ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের
মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এর আগে চার ধাপে ভোট সম্পন্ন
করেছে ইসি।
এবারে নেত্রকোণার
খালিয়াজুরী, বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া,
বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী, পিরোজপুরের
মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় সুষ্ঠু
ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
তবে ঝালকাঠির
রাজাপুর উপজেলার কেওতা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর সমর্থকদের
মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাঠিপাড়া কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ
করায় প্রার্থীর এক এজেন্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি জেলায়
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
এই ১৯টি উপজেলায়
তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের
কারণে তা স্থগিত করা হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এগুলোতে চেয়ারম্যান
পদে ১১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জনসহ মোট ৩৩০ জন
প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ইসি জানিয়েছে, ১৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন
এবং ১ হাজার দুইটি কেন্দ্রে ভোটের দিন অর্থাৎ আজ সকালে ব্যালট গেছে।