আজঃ শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রায় এক কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে কর্মরত আছেন। তারা প্রচুর রেমিট্যান্স সরবরাহ করে আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। সেজন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনের লেবার উইংয়ে নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের ডিপ্লোমেটিক ওরিয়েন্টেশন কোর্সের সার্টিফিকেট দেওয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন মন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ জন নিহত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের সামনে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর সফলতার জন্য টিমওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিশনের সবাই মিলে একটি দল হিসেবে কাজ করে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরুন। সেবা প্রত্যাশী প্রতিটি বাংলাদেশিকে সহানুভূতির সঙ্গে, যত্নসহ সেবা দেবেন, যাতে আপনাদের সততা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রয়োগ নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ

লেবার উইংয়ে নিযুক্ত কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কোর্সে যেসব নির্দেশনা পেয়েছেন ও জ্ঞান অর্জন করেছেন তা প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় সহায়তা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি ওরিয়েন্টেশন কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করায় কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।

ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসের সভাপতিত্বে সার্টিফিকেট দেওয়ার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মিরে বাস খাদে পড়ে নিহত ১০

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শ্রম উইংয়ের ভূমিকা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর



২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় কংগ্রেস ১০০টি আসন জিততে চলেছে। ২০০৯ সালের পরে এবারই দলটি এত বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাই বিষয়টিকে কংগ্রেসের উত্থান হিসেবে দাবি করছেন অনেকে।

আবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে ২৩০টি আসনে। জয় নিশ্চিত হয়েছে আরও একটি আসনে। এর মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ৯৯ আসনে, জয়ী হওয়া আসনটিও তাদের। এছাড়া, সমাজবাদী পার্টি ৩৫, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯, ডিএমকে ২২, আম আদমি পার্টি তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে ২৯০টি আসনে। এগুলো মধ্যে মোদীর দল এককভাবে ২৩৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫২টি ও ২০১৪ সালে মাত্র ৪৪টি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস উপমহাদেশের প্রাচীন দলটি। অথচ ২০০৯ সালে দলটি ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের নেতৃত্বে ২০৬টি আসনে জিতেছিল।

২০১৪ সালে যা ঘটেছিল: ২০১৪ সালে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির মুখোমুখি হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিশাল পরাজয়ের মুখে পড়ে দলটি। সেবার তারা ১৬২টি আসন হারায় ও প্রায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট হারায়। সেই সময় মোদির হাত ধরে হিন্দুত্ববাদের উত্থান ঘটে।

গুজরাট, রাজস্থান বিহার, ঝাড়খণ্ড ও মধ্যপ্রদেশে ব্যাপক ব্যবধানে জয়লাভ করে বিজেপি। ১০ বছর আগে ওই ভোটে দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৩৬টিতে জয় পায়। আর এককভাবে বিজেপি পেয়েছিল ২৮২টি আসন।

এনডিএ জোট উত্তর প্রদেশে ৭৩টি, মহারাষ্ট্রে ৪১টি, বিহারে ৩১টি ও মধ্যপ্রদেশে ২৭টি আসন পায়। তাছাড়া গুজরাটের ২৬টি, রাজস্থানের ২৫টি, দিল্লির সাতটি, হিমাচল প্রদেশের চারটি ও উত্তরাখন্ডের পাঁচটি আসনে জেতে। সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের ১৪টির মধ্যে ১২টি, ছত্তিশগড়ের ১১টির মধ্যে ১০টি ও হরিয়ানার ১০টি আসনের মধ্যে সাতটিতে জয় লাভ করেছিল। সেবার কংগ্রেস উত্তর প্রদেশের মাত্র দুটি আসন আমেঠি ও রায়বরেলিতে জিতেছিল।

২০১৯ সালে কংগ্রেসের অবস্থা: ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে আরও বেশি আসনে জয় পায়। সেবার মোদীর দল এককভাবে ৩০৩টি ও জোটবদ্ধভাবে ৩৫৩টি আসনে জয় লাভ করে। ওই বছর দলটি উত্তর প্রদেশে ৭৪টি, বিহারে ৩৯টি ও মধ্যপ্রদেশে ২৮টি আসন পেয়েছিল। সেই সঙ্গে গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও দিল্লিতেও জয়লাভ করে। এসব রাজ্য থেকে বিজেপি ৭৭টি আসন পায়। অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ের ৯টি ও ঝাড়খণ্ডের ১১টিসহ এই অঞ্চল থেকে ২৩৮টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি।

সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেয়। রাহুল গান্ধী আমেঠি আসনে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে বাজাভাবে পরাজিত হন। ওই পরাজয়ের পরেই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল।


আরও খবর



নীতিশ-নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছে কংগ্রেস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সদ্যই শেষ হওয়া লোকসভার নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দেশটির নির্বাচন কমিশনে প্রকাশিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মোদির বিজেপি এবার এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। ফলে সরকার গঠনে তাকে জোট গড়তে হবে।

আর বিজেপির এই জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কারণে ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের বিহারভিত্তিক জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) প্রধান নেতা নীতীশ কুমার। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের আরেক দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিহারে ১৫টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে নীতিশের দল। সরকার গঠনের জন্য এখন নীতিশকে প্রয়োজন হবে মোদির। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিশ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মোদির সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কংগ্রেসের প্রধান নিজে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মূলত তাদের সঙ্গে যোগ দিতে এই দুজনকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তবে একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে তাদের আপাতত অবস্থান পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে মোদির সরকার গঠন নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো শঙ্কা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৩৪টি আসনের ফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত ঘোষিত ৩৩৪টি আসনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল রাহুল গান্ধীর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পেয়েছে ৬৬টি আসন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪টি আসন পেয়েছে সমাজবাদী দল। আর বাকি আসনগুলো পেয়েছে অন্যান্য দলগুলো।

ভারতে কোনো দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হবে। তবে মোদির বিজেপি এককভাবে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফলে তাদের এখন সরকার গঠন করতে হবে এনডিএ জোটে থাকা অন্যান্য দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে। গত নির্বাচনেও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু সেবার বিজেপি একাই ৩০২টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ফলে তারা চাইলে জোট ছাড়াই সরকার গঠন করতে পারত। কিন্তু এবার তাদের আর সেই সুযোগ নেই।


আরও খবর



বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নরকে বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যেখানে বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাজেট নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকরা। যেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা। শুধু চুপ করে বসে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে কোনো বক্তব্য দেননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। যদিও তার কোনো কথা শুনবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন সাংবাদিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সে জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা কেউ তার বক্তব্য শুনব না। তিনি যেন কোনো বক্তব্য না দেন, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বক্তব্য দিলে আমরা তা বয়কট করব।

এরপর পুরো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেননি গভর্নর। ব্যাংক নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অন্যরা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ প্রমুখ।

এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন।

প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।

দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ (১২ জুন) থেকে ১০ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলা শুরু হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাত্রার সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ঈদুল আজহায় চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১, ২, ৩ ও ৪) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৮ ও ৯) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরে ৭ দিন চলাচল করবে।

এ ছাড়া পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে আগামী ১৩-১৫ জুন (৩ দিন) ও ঈদের পরে ২১-২৩ জুন (৩ দিন) চলাচল করবে।

অন্যদিকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৭ ও ১৮) পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পার্বতীপুর; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৯ ও ২০) ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়েও একজন গর্বিত কৃষক ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান তিনি। তার রয়েছে আরও একটি পরিচয়, কৃষক। সাত একর জায়গায় তার একটি খামারও রয়েছে। বাগানটিতে রয়েছে দেশি বিদেশি ৩৬ জাতের ফলদ, বনজ ও ঔষধি মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার গাছ। এছাড়াও রয়েছে, গরুর খামার, মাছের খামার এবং জৈব সারের প্লান্ট।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাবুলের বাজারে নিজের বাগানে চাষ করা ১৬ কেজি কচুর লতি বিক্রি করছিলেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বাজারে একটি প্লাস্টিকের টুলের ওপর বসে কচুর লতি বিক্রি করার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ছবিসহ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। বিষয়টি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। এই সুবাধে গত ৯ বছর ধরে তিনি কৃষিকে ভালোবেসে এই গ্রামেই বাণিজ্যিকভাবে ৭ একর জমিতে কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার।

জানা যায় খামারে রয়েছে, ড্রাগন ফল, মাহালিশা, কিউজাই, ব্রুনাই কিং, বাউ-৪, কাঁচামিঠা, তাইওয়া গ্রিন, কাটিমন, পালমার, মল্লিকাসহ ১০ প্রজাতির আম, চায়না থ্রি, মঙ্গলবারিসহ তিন প্রজাতের লিচু, মিসরীয় শরিফা, স্ট্রবেরি, চেরি, থাই পেয়ারা, আম, লেবু, জাম্বুরা, লটকন, মাল্টা, সফেদা, আতাফল, কদবেল, আমলকী, ডেউয়া, ডুমুর, কাঠবাদাম, জামরুল, থাই জাম্বুরা, লটকন, মল্টা ও কলা ইত্যাদি ফলগাছ।

এছাড়াও মাছের খামারও রয়েছে। পুকুরে দেশি প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়। পুকুর পাড়ে রাজহাঁস আর চীনা হাঁসের ছোট্ট একটি খামারও আছে। মাছের জন্য বাজার থেকে আলাদা খাদ্য কিনতে হয় না। পুকুরপারে একটি শেডে কিছু গবাদি পশুও লালন-পালন করছেন।

দেশের তরুণদের কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে তাঁর এ প্রচেষ্টা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে দাবি সুশীল সমাজের।

উল্লেখ্য যে, ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তার ছেলে। বাবার সেনাবাহীতে চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় সেনা নিবাসে বসবাস করতেন তিনি। ২০০২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৮ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে কৃষি ব্যবসায় এমবিএ ডিগ্রি নেন। এরপর ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেন তিনি।

বর্তমানে তিনি বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর
গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪