আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

১০ ট্রাক অস্ত্র আমদানির কেন্দ্রে ছিলেন তারেক রহমান: গগনজিৎ সিং

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আজ শনিবার (১ এপ্রিল) ১৯ বছর আগে এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে ও বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ফেরারি আসামি তারেক রহমান এর প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় ভূমিকায় এদেশের স্বাধীনতা এবং তৎকালীন বিরোধীদল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য  ১০ ট্রাক অস্ত্র আমদানি করে। চঞ্চল্যকর এ তথ্য জানিয়েছেন ভারত সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) গগনজিৎ সিং।

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গগনজিৎ সিং বলেন,  বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের মতো এত বড় চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। এ অস্ত্র চালানের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) ও পাকিস্তান সরাসরি জড়িত ছিল।

এর আগে গগনজিৎ সিং বলেছিলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র উলফার কাছেই যাচ্ছিল। এ সময় উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের যোগসাজশের বিষয়েও জানান তিনি। তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠরাই ১০ ট্রাক অস্ত্র এনেছিলেন।  কোনো সন্দেহ নেই তখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে উগ্রবাদী ও জঙ্গিদের জন্য নিরাপদ এক আশ্রয়স্থল হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পরেশ বড়ুয়া এমন এক স্থানে বসবাস করতেন, যেখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বাহিনী ছিল। দোতলা বাসায় তিনি থাকতেন এবং সেখান থেকে বাধাহীনভাবে সর্বত্র চলাফেরা করতে পারতেন। তিনি তার ছেলেদের নিয়ে ওখানকার পার্কে ফুটবল খেলতে যেতেন। এ ছাড়া অন্যান্য উগ্রবাদী নেতা ও তাদের পরিবারও সেখানে থাকত। তারা সেখানে শান্তিতে থাকতে পেরেছে, কেননা ওই দেশের (বাংলাদেশ) সরকারের সমর্থন তারা পেয়েছিল।

পাকিস্তান ১৯৭১ সালে পরাজয়ের কথা ভুলতে পারেনি মন্তব্য করে গগনজিৎ সিং বলেন, পাকিস্তান সর্বদা চেষ্টা করেছে বাংলাদেশকে দুর্বল করতে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। আর পাকিস্তানও তাদের সমর্থন করে। এরপর যখন আওয়ামী লীগ এলো (সরকার গঠন করল), তারা বাংলাদেশের মুক্তির বিষয়টি জানে। কিন্তু পাকিস্তান সর্বদা প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে। আর বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে তাদের (পাকিস্তানের) বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, যেভাবে পাকিস্তান বিএনপিকে সহায়তা করেছে, তাতে আপনারা (সাংবাদিক) ব্যক্তিগতভাবে বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারবেন, নিশ্চিতভাবেই তারা এটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এত বড় অস্ত্রের চালান যখন আসে, জাহাজ বোঝাই করে, এটা কোনো একটি সংগঠনের পক্ষে আনা সম্ভব নয়। এটি কোনো নিম্ন সারির নেতার পক্ষে আনা সম্ভব নয়। এখানে উচ্চপর্যায়ের নেতারা সম্পৃক্ত না হলে কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। আর এর লক্ষ্য ছিল খুবই সাধারণ, বাংলাদেশের ক্ষমতা যেন বিএনপি-জামায়াতের হাতে থাকে এবং পাকিস্তান এটা চেয়েছিল।

উগ্রবাদীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্যই এত বড় অস্ত্রের চালান এসেছিল জানিয়ে ভারতের সাবেক এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এই অস্ত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত উগ্রবাদী এবং অন্যদের জন্য ছিল। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকেও এই অস্ত্র প্রদান করা হতো। এতে করে বাংলাদেশ ও ভারতের এ পুরো অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠত এবং এটাই তারা চেয়েছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের সম্পর্ক ছিল কি না আমি বলতে পারি না। কিন্তু এ অঞ্চলের যতগুলো উগ্রবাদী গোষ্ঠী রয়েছে, তারা প্রত্যেকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে একত্র হচ্ছিল। ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান বিএনপি নেতা ও যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মালিকানায় থাকা জাহাজে করে এসেছিল-এ বিষয়টি স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রশ্রয়েই তারা এটি করেছিল।


আরও খবর



বাজেট: ৩ কোটি ৮০ লাখ কিডনি রোগীর খরচ কমবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে কিডনি রোগে ভোগা মানুষের আনুমানিক সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ। এ রোগীদের বেশির ভাগকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট। প্রস্তাবিত বাজেটে এ দুটি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এ দুটি পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট। এ পণ্য দুটির আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করছি। অর্থমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান।


আরও খবর



বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নিহত ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোরের দিকে বিস্ফোরণ ঘটে বাড্ডা ডিআইটি রোডের তিনতলা একটি ভবনের নিচতলায়। ঘটনার পরপরই বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (সদর) তালহা বিন জসিম জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একজন পুরুষ নিহত হয়েছেন ও একজন আহত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

নিউজ ট্যাগ: গ্যাস লিকেজ

আরও খবর



নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইটের পথে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হলো নেদারল্যান্ডস। এতে ২৫ রানের জয় পেলো বাংলাদেশ। সেই সুবাদে সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনা জোরালো করলো টাইগাররা।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই তাসকিন আহমেদের শিকার হন মাইকেল লিভিট। পরের ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের বলে ফেরেন ম্যাক্স ও'ডাইউ। তাতে ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।

এই অবস্থায় হাল ধরেন সাইব্রান্ড এনগেলব্রখট ও  ডি লিড। চতুর্থ উইকেটে ৪২ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা। ফলে ১৪ ওভারে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৪ রান। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে বাংলাদেশ।

সেই পরিস্থিতিতে দলকে স্বস্তি এনে দেন রিশাদ হোসেন। ১৫তম ওভারে দুটি উইকেট তুলে নিলেন তিনি। ২২ বলে ৩২ রান করা সাইব্রান্ডকে তানজিমের ক্যাচ বানান। আর স্টাম্পড আউট করেন ডি লিডকে।

১৭তম ওভারে ১ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্কট এডওয়ার্ডসকে (২৩ বলে ২৫) জাকির আলির ক্যাচ বানান তিনি। দলের জয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ব্যাক-টু-ব্যাক বোলিংয়ে এসে আবারও উইকেট লাভ করেন রিশাদ। লোগান ফন বিককে নিজের ক্যাচ বানান। সর্বশেষ টিম প্রিংলেকে ফেরান তাসকিন। এতে ২০ ওভারে ডাচরা তুলতে পারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান।

এর আগে সেন্ট ভিনসেন্টে টস হেরে ব্যাট করে নেমে সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি। সূচনাতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ওভারেই আরিয়ান দত্তকে রিভার্স সুইপ খেলে ক্যাচ দেন তিনি।

সেই রেশ না কাটতেই আরিয়ানের দ্বিতীয় শিকার হন লিটন দাস। সুইপ খেলে স্কয়ার লেগে এনগেলব্রেখটের দুর্দান্ত ক্যাচ হন ডানহাতি ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে সাকিবকে নিয়ে ৩২ বলে ৪৮ রানের দারুণ জুটি গড়েন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি ২৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হলে জুটি ভাঙে। পল ফন ম্যাকেরেনের বলে ডি লিডের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি ব্যাটার।

এদিন ভালো করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। ১৫ বল খেলে করেন মাত্র ৯ রান। টিম প্রিংলের বলে স্টাম্প ছেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটার।

পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঝলক দেখান। ২ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ২১ বলে ২৫ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। ফন ম্যাকেরেনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। তবে দুর্দান্ত ব্যাট করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ৪৬ বলে ৬৪ রানের চোখজুড়ানো ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ সেরা অলরাউন্ডার। তার সঙ্গে ৭ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জাকের আলি।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আরিয়ান ও ম্যাকেরেন। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। ২ উইকেট নেন তাসকিন। ম্যাচসেরা হন সাকিব।


আরও খবর



ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৩৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী কল্লাকুরিচি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে বিষাক্ত মদপানে আরও কমপক্ষে ৫৫ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যু হওয়াদের অধিকাংশই কারুনাপুরাম এলাকার। এক নারী জানান, বিষাক্ত মদপানে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা করছিল এবং সে চোখ খুলতে পারছিল না। মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা যায়নি।

অন্য এক মা জানান, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা। সে কিছু দেখতেও পারছে না আর কিছু শুনতেও পাচ্ছে না। তিনি বলেন, এমনটা কারও সঙ্গে যেন না হয়। এ ধরনের বিষাক্ত মদ বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার কল্লাকুরিচির জেলা প্রশাসক এমএস প্রশান্ত জানিয়েছেন, অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কাছাকাছি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসাকর্মীদের জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। লাইফ-সাপোর্ট সিস্টেমসহ বাড়তি অ্যাম্বুলেন্সও মোতায়েন করা হয়েছে। বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এই ঘটনার এর জের ধরে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিষাক্ত মদপানে একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থতা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ও গাফিলতির অভিযোগে কল্লাকুরচির জেলা প্রশাসককে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ২৬ জনের পান করা দেশি মদের প্যাকেট থেকে নমুনা নিয়ে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, কল্লাকুড়িতে বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনায় আমি মর্মাহত ও ব্যথিত হয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে গত বছর তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপাট্টু এবং ভিল্লুপুরমে বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় একাধিক রিপোর্টে জানা যায় যে, দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির রমরমা ব্যবসার কথা। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর



বন্যায় সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না, পানি নেমে যাওয়ার পর নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এদিকে গত বন্যায় প্লাবিত হয়ে কৃষিতে প্রায় ৯৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আবারও সিলেটের বেশিরভাগ ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার মাঠে এখনো ফসল আছে ২০ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৭ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৫ হাজার ৯৮২ হেক্টর আউশ ধান, ৮৫৬ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬১ হেক্টর বোনা আমন। আউশ ধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলায়। এখানে ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ হেক্টর। সিলেট সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে ১ হাজার ৪৪ হেক্টরই প্লাবিত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে প্লাবিত হওয়া আউশ ধানের মধ্যে বিশ্বনাথে ৮৬১ হেক্টর, গোলাপগঞ্জে ৭৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৫৬০, গোয়াইনঘাটে ৪১৫, জকিগঞ্জে ৩৫০, ওসমানীনগরে ৩১০, বিয়ানীবাজারে ৯০, কানাইঘাটে ৭৫, দক্ষিণ সুরমায় ৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৪০ ও বালাগঞ্জে ৫ হেক্টর রয়েছে। প্লাবিত হওয়া আউশ বীজতলার মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১৬০ হেক্টর, বিশ্বনাথে ১৫৪, সিলেট সদরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৯৫, দক্ষিণ সুরমায় ৮০, বিয়ানীবাজারে ৫৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৮,  কানাইঘাটে ৪২, বালাগঞ্জে ৩৫, ওসমানীনগরে ২৯, কোম্পানীগঞ্জে ২৭, জকিগঞ্জে ২৩ ও গোয়াইনঘাটে ৮ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট ৬ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি আছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার ১ হাজার ১২০ হেক্টর, সিলেট সদরে ৭২০, বিয়ানীবাজারে ৫৩০, জকিগঞ্জে ৪৬৫, গোলাপগঞ্জে ৪৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৪৮, দক্ষিণ সুরমায় ৪৩৫, বালাগঞ্জে ১৭৫, গোয়াইনঘাটে ১০৫, ওসমানীনগরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৮০, কোম্পানীগঞ্জে ৫২ ও কানাইঘাটে ২৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি প্লাবিত হয়েছে।

সিলেটের প্লাবিত হওয়া বোনা আমনের মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৮২ হেক্টর, কানাইঘাটে ৩৬, জকিগঞ্জে ১৮, দক্ষিণ সুরমায় ১১, জৈন্তাপুরে ১০ ও বালাগঞ্জে ৪ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট বোনা আমন আছে ১৬৭ হেক্টর জমিতে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের মাসুদ আহমেদ জানান, কয়েকদিন আগের বন্যায় ৬০শতক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগে আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে, নিজ শ্রম বাদে ফসল রোপণ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক লোকমান আলী জানান, ধার-দেনা করে ৩০শতক কৃষিজমিতে সবেমাত্র আউশ ধান লাগিয়েছেন, লাগানোর একদিন পর বন্যার পানিতে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, বন্যায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। পানি নেমে গেলেই এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

 তিনি আরও বলেন, বুধবারের তথ্য অনুযায়ী জেলার মাঠে এখনও ফসল আছে ২০ হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭৯ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৮ হাজার ৮৫৫ হেক্টর আউশ ধান, ১ হাজার ৯৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৫ হাজার ৬৬৪ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬৭ হেক্টর বোনা আমন।


আরও খবর