আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আনোয়ারুল আজিম ইস্যুতে এখনই মন্তব্য করবে না ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের পার্লামেন্টারিয়ান আনোয়ারুল আজিম ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে যেরকম দুর্ভাগ্যজনকভাবে মারা গেছেন, তাতে দিল্লিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত শেষ না হলে এবং পুলিশ সব বিস্তারিত না জানালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনই কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে চাইছে না।     

দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র অবশ্য নিশ্চিত করেছেন, এমপি আজিম যে কলকাতায় আসার পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেছেন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সেটা তাদের জানানোর পর থেকেই তাকে খুঁজে বের করার সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দারাও এ ব্যাপারে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন।

বস্তুত, আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় এসে যে ভারতীয় সিমকার্ডটি ব্যবহার করছিলেন, সেটি যে ১৭ মে (শুক্রবার) খুব অল্প সময়ের জন্য বিহারের মুজাফফরপুরের কাছে চালু করা হয়েছিল সেই তথ্যও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ট্র্যাক করে বের করেছিলেন। পরে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের মারফত সেই খবর ঢাকায় তদন্তকারীদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়।

আনোয়ারুল আজিমকে ঠিক কী পরিস্থিতিতে, কীভাবে, আর কেন হত্যা করা হয়েছে (যদি এটা হত্যাই হয়ে থাকে) তা নিয়ে যেহেতু এখনও অনেক অস্পষ্টতা আছে, তাই সরকারিভাবে ভারত এটা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। দিল্লির নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে এটা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যা বলার পশ্চিমবঙ্গের (বিধাননগর) পুলিশই বলবে।

এর আগে বুধবার (২২ মে) সকালে কলকাতার উপকণ্ঠে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা সাংবাদিকদের জানান, আনোয়ারুল আজিম শেষ যে ভাড়া গাড়িটি কলকাতায় ব্যবহার করেছিলেন, সেই ক্যাবটির চালক জেরার মুখে স্বীকার করেছে যে ওই যাত্রীকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সত্যিই যদি তা হয়ে থাকে, তাহলে সেই খুনের মোটিভ কী ছিল, খুনিরা কয়জন ছিল বা তারা কারা, স্থানীয় ক্যাবচালককে এই কাজের জন্য তারা ভাড়া করেছিল কিনা, লাশের টুকরো কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছিল পুলিশ কর্তৃপক্ষ এসব প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি।

তবে তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকে এটুকু আভাস দেওয়া হয়েছে, এমপি আনোয়ারুল আজিমকে যারাই হত্যা করে থাকুক, এই হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশেরই বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

একজন বিদেশি এমপি কলকাতায় এসেছেন, আর তার সঙ্গে পয়সাকড়ি আছে এটা আঁচ করে স্থানীয় কোনও অপরাধী চক্র বা দুষ্কৃতকারী গ্যাং তাকে মেরে ফেলে টাকাপয়সা লুট করতে চেয়েছিল ব্যাপারটা অত সহজ নয় বলেই আমরা ধারণা করছি, জানিয়েছে একটি সূত্র। সোজা কথায় তারা অনুমান করছেন, এই হত্যারহস্য আসলেই খুব জটিল এবং এর পুরো কিনারা করতে বেশ সময় লাগতে পারে।

বিদেশের কোনও এমপি যখন ভারতে সফর করেন, তারা সাধারণত নিজেদের ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টই ব্যবহার করে থাকেন। আনোয়ারুল আজিমও ঠিক তাই করেছিলেন। এখন এমন একজন ভিআইপি বিদেশি অতিথিকে যখন ভারতের মাটিতেই প্রাণ হারাতে হয়, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর চেহারা নিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তদন্তে সব দিক আগে পরিষ্কার না হলে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা না বলে ভারত আগ বাড়িয়ে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না।  


আরও খবর



রাঙামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাট্টলী এলাকার ধনপুতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন তিলক (৪৯) ও স্থানীয় ধন্যমনি চাকমা (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ।

তিনি জানান, আমরা শুনেছি সন্তু লারমা জেএসএস কর্তৃক এক ইউপিডিএফ কর্মী ছাড়াও স্থানীয় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আজ সকালে ধনপুতি এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করার সময় জেএসএসের হামলায় দুইজন নিহত হন। এর মধ্যে একজন তাদের কর্মী আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা।

ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়।

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসএর কোনো কার্যক্রম নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।


আরও খবর



প্রেম-দ্রোহ ও সাম্যের কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ। বিংশ শতাব্দীর প্রধান এ বাঙালি কবি ও সংগীতকারের সম্মানে সারা দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি।

১৮৯৯ সালের ২৫ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) অবিভক্ত বাংলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ) বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতামহ কাজী আমিন উল্লাহর পুত্র কাজী ফকির আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। কাজী নজরুল ইসলামের ডাক নাম দুখু মিয়া’।

খুব ছোট বয়সেই নজরুল গ্রামের স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেন। ১৯০৮ সালে তার বয়স যখন মাত্র ৯ বছর তখন তার পিতার মৃত্যু হয়। এরপর পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজে নামতে হয় তাকে। এ সময় মক্তবে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। লেটো গানের দলেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

১৯১৭ সালের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রথমে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্ত প্রদেশের নওশেরায় যান। তিনি ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাধারণ সৈনিক কর্পোরাল থেকে কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার পর্যন্ত হয়েছিলেন।

সৈনিক থাকা অবস্থায় তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। এ সময় নজরুলের বাহিনীর ইরাক যাবার কথা ছিলো। কিন্তু যুদ্ধ থেমে যাওয়ায় আর যাননি। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধ শেষ হলে ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভেঙে দেয়া হয়। এরপর তিনি সৈনিক জীবন ত্যাগ করে কলকাতায় ফিরে আসেন।

কলকাতায় এসে নজরুল ৩২ নং কলেজ স্ট্রিটে বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে বসবাস শুরু করেন। এখান থেকেই তার সাহিত্য-সাংবাদিকতা জীবনের মূল কাজগুলো শুরু হয়। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নজরুল ছিলেন সবচেয়ে সরব। বহুবার ব্রিটিশ শাসকের কোপানলে পড়ে কারারুদ্ধও হয়েছেন তিনি।

১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা। ‌আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য নজরুলকে দেয়া হয় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মাত্র ২২ বছর ব্যাপ্তির লেখক জীবনে রচনা প্রায় চার হাজার গান, অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প আর উপন্যাস। সাহিত্যের পাশাপাশি করেছেন সংগীত ও চলচ্চিত্র পরিচালন, এমন কী অভিনয়ও। বর্ণাঢ্য জীবনে জড়িয়েছিলেন নানা পেশায়।

জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তিনদিনব্যাপী জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে প্রেম, দ্রোহ আর মানবতার কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন শুরু হয়।

‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ প্রতিপাদ্যে এবার জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নজরুলের কবিতা ও গান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনো প্রাসঙ্গিক।

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যুগে যুগে মানুষকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছেন। তার কাছে ধর্ম, গোত্র, জাত-কুল, ধনী গরিব সব শ্রেণির মানুষ ছিলো সমান। তার গানে প্রেম ও প্রকৃতি অপরূপ রূপে ধরা দিয়েছে। তাই কবি নজরুল একাধারে দ্রোহ ও মানবতার কবি। সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার কবি। সত্য, সুন্দর, কল্যাণ, প্রেম ও হৃদয়াবেগের কবি।

নজরুলকে কেউ বলেন প্রেমের কবি, কেউ বলেন দ্রোহ আর বিদ্রোহের। কারো কাছে মানবতার কবি নজরুল, গান গেয়েছেন সাম্যের। প্রাণের কবি, গানের কবি-এমন নানা নামে ডাকে সাধারণ। গবেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডি নয়, নজরুলের বিস্তৃতি সর্ব পরিসরে।


আরও খবর



জাল টাকার মাফিয়া জাকির আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কদমতলীতে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ মাফিয়া জাকিরকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ শনিবার কদমতলীর দনিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিবি লালবাগ বিভাগের অভিযানে কদমতলীতে কারখানাসহ কোটি কোটি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় জাল টাকার মাফিয়া জাকিরকেও আটক করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান আছে।

সূত্র জানিয়ছে, এই কোটি কোটি জাল টাকা আসন্ন ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক পশুর হাটগুলোকে সরবরাহ করার চেষ্টা করছিল চক্রটি।

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান জানান, জাল টাকার বিষয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

২০১২ সাল থেকে এ কাজটি করে আসছিলো জাল টাকার অন্যতম পথিকৃত জাকির। বাগেরহাট, খুলনাতেও তার কারখানা ছিল। এক নারী ক্রেতার সূত্র ধরে এই কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। এই কারখানায় ভারতীয় মুদ্রাও তৈরি হতো। এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত আছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালন করতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত (১৬ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী। মোট ৬১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১ টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।

এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: চলছে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ২৪টি উপজেলাতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হচ্ছে। বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও আদালতের নির্দেশে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটের লড়াই চলছে।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।

এই ধাপে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, আটজন ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এ ছাড়া দুই উপজেলায় তিনটি পদেই একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন এবং নারী এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার ২৩৭ জন। এই ধাপে মোট প্রাথী এক হাজার ৮২৪ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় গত ৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আজ দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ চলছে। এরপর তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় আগামী ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর