আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে কঠিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে অনেক কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

বুধবার (২৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছি। বর্তমানে ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরও নারী শান্তিরক্ষী পাঠানোর।

সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বে চলমান যুদ্ধ আজ শান্তিতে বিঘ্নিত করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের হামলায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা ইত্যাদি মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, এসব অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবনও তত বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে নারী-শিশু, তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এই অর্থ যদি ক্ষুধার্ত মানুষের আহারের ব্যবস্থায়, শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো তাহলে মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হতো, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারত।


আরও খবর



২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার স্লোগান নিয়ে এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। দেশের ৫৩তম এই বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আজ পাস হচ্ছে প্রস্তাবিত এই বাজেট।

রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। পরে তা সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হবে।

৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাজেট হতে যাচ্ছে এটি।

এর আগে শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে কয়েকটি সংশোধনীসহ অর্থবিল-২০২৪ পাস হয়েছে। বিলটি পাসের আগে বিলের উপর সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ বহাল রাখা হয়। এছাড়া ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিলের উপর জনমত বাছাইয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় সংসদে। সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকসুদের হার বাজারভিত্তিক ও নীতি সুদহার প্রবর্তন করা হয়েছে। ডলারের দাম স্বাভাবিক রাখতে ক্রলিংপেগ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সব সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত ১১টি পদক্ষেপ পূরণে বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হলে ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। দারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। খাদ্য নিরাপত্তায় টিসিবির মাধ্যমে কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা, ওএমস কার্যক্রম চালু রাখা ও সামাজিক সুরক্ষার আওতায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

সংসদে পাস হওয়া বিলে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু অর্থ বছরের জন্য আর্থিক বিধান, বিদ্যমান আইন সংশোধনীসহ কর প্রস্তাবসমূহ অনুমোদন করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক সংসদ সদস্য (এমপি) নতুন নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া সম্পদশালীদের কোম্পানির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির পরিবেশ সারচার্জ মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়া রিটার্নে আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি আয় দেখানো হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ট্যাক্স ফাইল অডিটে ফেলবে না।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি নষ্ট হওয়ায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর লাঙ্গলবন্দ এলাকা থেকে সোনারগাঁয়ের চৈত্রী এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে ৪ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

বুধবার (৫ জুন) সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এ দিকে এমন যানজট আগে কখনো দেখেননি জানিয়ে এক বাসচালক বলেন, সচরাচর এই সময় মহাসড়কে তেমন যানজট থাকে না। আবার আজ মহাসড়কে যানবাহনের চাপও কম। কী কারণে এমন যানজটের মাধ্যমে আমাদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হলো তা জানা নেই।

এ বিষয়ে আমিনুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, যানজটের কারণে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ থেকেই গাড়ি আর সামনের দিকে যাচ্ছে না। কখন নাগাদ গন্তব্যস্থলে যেতে পারব জানি না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক বলেন, আজ ভোরের দিকে মহাসড়কের চৈত্রী এলাকায় একটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এ কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এরইমধ্যে রেকার দিয়ে ওই বিকল গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। যানজট নিরসনে আমরা সবার্ত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


আরও খবর



বাংলাদেশ-ভারত

অংশীদারত্ব এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার প্রশংসা জয়শঙ্করের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ভারত বিশেষ অংশীদারত্ব আরো এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। দুই দিনের সফরে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এ বার্তা দেন জয়শঙ্কর।

শুক্রবার (২১ জুন) ড. এস জয়শঙ্করের এক্স হ্যান্ডেল বার্তায় বলা হয়, সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। ভারতে তার রাষ্ট্রীয় সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের ঘনিষ্ঠ ও চিরস্থায়ী সম্পর্ক আরো গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ এ অংশীদারত্ব আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার দিকনির্দেশনামূলক ভূমিকার প্রশংসা জানাচ্ছি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ২১ জুন নয়াদিল্লী অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক সফর উপলক্ষে ২১-২২ জুন নয়াদিল্লীতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গী দল।


আরও খবর



২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর অন্যতম। বহু বছর দেখা না গেলেও ২০১২ সালের পর বরেন্দ্র এলাকায় চোখে পড়ে রাসেলস ভাইপার। গত বছর ছড়িয়ে পড়ে অনেক এলাকায়।

দেশের ২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এই তথ্য সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের। গবেষকেরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ছড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার। এই সাপের কামড়ে দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন।

রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠিএসব জেলায় ছড়িয়ে রাসেলস ভাইপার।

রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে। দেড় বছরে এ সাপের কামড়ে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।

গবেষকেরা বলছেন, মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপারের। এটিই একমাত্র বিষধর সাপ, যে বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে জন্ম নেয় ৪০ থেকে ৫০টি বাচ্চা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত আদ্রতা ও অতিরিক্ত গরম অনুভূত হচ্ছে। আর নদীর পানির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। লবণাক্ত এলাকা বাড়ছে। এমন পরিবেশ রাসেলস ভাইপারের জন্য উপযুক্ত। শুধু এদের বেঁচে থাকার জন্য নয়, তাদের বংশবৃদ্ধির জন্যও।

ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ভারতবর্ষের যে অংশটা আমাদের রাজশাহী এলাকার সঙ্গে লাগোয়া, ওই অঞ্চল হয়ে পানির সঙ্গে স্রোতের মাধ্যমে গঙ্গা পদ্মা হয়ে সেটা এখানে চলে এসেছে। দেখা গেছে যে এই নদীর মাধ্যমেই ছড়িয়ে গেছে। এগুলো পদ্মার নিচের দিকের এলাকায় যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে উপরের এলাকাতেও।

এরই মধ্যে ৫০টি রাসেলস ভাইপার সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলছে এন্টি ভেনম তৈরির গবেষণা। বর্তমানে এই সাপে কাটলে দেওয়া হয় ভারতে তৈরি এন্টি ভেনম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, নিজস্ব সাপের বিরুদ্ধে যখন নিজস্ব অ্যান্টি ভেনম তৈরি হবে, তখন আমরা বলতে পারব আমরা এই সাপে কাটা রোগীদের সঠিক সেবা দিতে পারছি। এর আগ পর্যন্ত আমাদের ভারতের অ্যান্টিভেনমের ওপর ভরসা করে থাকতে হবে।

কিছুটা অলস প্রকৃতির রাসেলস ভাইপারের প্রধান খাবার ইঁদুর, ব্যাঙ, পোকামাকড়। তাই ফসলি জমিতে দেখা যায় একে। ফলে, আতঙ্কে অনেক এলাকার কৃষক।


আরও খবর



অনুসন্ধানী সংবাদ পরিবেশনে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্টের পর সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকার বিষয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিপিএসএ। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীন ভূমিকার সমর্থনে কথা বলেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এগুলোকে আংশিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএসএ। আহ্বান জানানো হয় রিপোর্ট প্রকাশে আরও সতর্ক হওয়ার।

বিপিএসএর বিবৃতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানায় সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্র্যাব। এবার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানালো যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (২৪ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিপিএসএর বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনায় সাংবাদিকদের বাধা দেয়ার জন্য তাদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক কাজের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান।

মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ইস্যুতে হাসিনা-মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়েও এদিন প্রশ্ন করা হয় ম্যাথিউ মিলারকে। জানতে চাওয়া হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে দুই সরকারপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন স্বার্থের প্রতিফলন ঘটায় কিনা?

জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর