চট্টগ্রামের কোরবানির বাজার বিবিরহাটে রাখা হয়েছে উচ্চ শিক্ষিত নারীর ১৪ গরু। মানুষের ভিড়ের মধ্য নজর কাড়ছে তার গরুগুলো।
সালমা খাতুন নিজের পালিত ১৪টি গরু নিয়ে এসেছেন চট্টগ্রামের গরুর বাজারে। নারী হলেও গরু পালনে এগিয়ে আসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজারে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কলসি গ্রামে। দেখে মনে হচ্ছে না সে স্বাভাবিক কোনো খামারি। দেশের সাধারণত এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। তিনি পরম মমতায় গরুগুলোকে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন এবং ক্রেতাদের সাথে গরু নিয়ে দরদাম করছেন। বাজারে পুরুষ বিক্রেতার মধ্যে তিনি একমাত্র নারী বিক্রেতা। সালমা খাতুন জানালেন তার সংগ্রামী জীবনের কথা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করা সালমা খাতুন বলেন, আমি চাকরি করতাম। করোনার সময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে অনলাইনে আমের ব্যবসা করি। ২০১৯ সালে শখের বসে গরু পালন করছি। এরপর সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসাকে বড় করেন। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইচ্ছাশক্তির কারণে পরর ইউসিবি ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। নিজের পালিত গরু বিক্রি করতে চট্টগ্রামে কোরবানির বাজারে এসেছেন। গত ২০২২ সালে এই বাজারে এসেছিলাম, তখনও সব বিক্রি করে গেছিলাম। এবারের কোরবানির বাজারে তিনি ১৪টি গরু এনেছেন।
তিনি বলেন, আমার এখানে ১ লাখ ১২ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দামের গরু আছে। আমরা বাজারে গরুগুলো এনেছি গত বৃহস্পতিবার। সবকিছু বিক্রি হয়ে যেতে পারবো আশা করছি।
এসময় ক্রেতারা জানান, 'নারী হলেও গরুর খামার করা সাহসী ব্যাপার। তিনি অনেক দূর থেকে এসেছেন। তার সাহস আছে। ওনার দেখাই অনেক নারীও এই পেশায় আসবে। একজন খামারি হিসেবে তিনি সফল হবেন।'