আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

অল্প বৃষ্টিতেই ডুবল ঠাকুরগাঁওয়ের সড়ক ও মার্কেট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকার ড্রেনেজের বেহাল দশা। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ও বাজারে পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি যেন চরম আকার ধারণ করেছে। বর্ষাকাল আসতে না আসতেই শহরের এ অবস্থায় নাজেহাল পৌরবাসী।

তবে ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে পানি নিস্কাশনে না হওয়ায় অনেক মার্কেটের দোকানপাটের ভেতর ঢুকছে পানি। এতে আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্টসহ ভিজে গেছে বেশ কিছু পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজের এমন বেহাল দশা থাকলেও ব্যবস্থায় উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

বুধবার (১২ জুন) মধ্যরাতে ও সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের বিভিন্ন অলিগলি সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান। পানি বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ময়লা পানির ভ্যাপসা গন্ধে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

জলাবদ্ধতা সৃষ্ট শহরের বেশকটি এলাকা ঘুরে জলজটে আটকে পড়া ভুক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমরা পানিতে ডুবলেও খোঁজ নিতে আসেন না কোনো কাউন্সিলর, এমনকি মেয়রও। শহরবাসী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে নিচ্ছেন না কোনো ব্যবস্থা।

জানা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে শহরের নরেশ চৌহান সড়ক, নর্থ সার্কুলার রোড, গোয়ালপাড়া, কলেজপাড়া, কালিবাড়ি, শাহপাড়া, মুসলিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এমনকি বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ড্রেনেজগুলোর বেহাল দশার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রনি বলেন, এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। রাস্তাটিও নিচু। ড্রেন অপরিষ্কার থাকে। বৃষ্টি হলে শহরে কোথাও পানি জমুক আর না জমুক, এই এলাকায় পানি জমবেই।

নরেশ চৌহান সড়কের ব্যবসায়ী উজ্জল, মুকুলসহ অনেকে জানান প্রথম শ্রেণির পৌরসভার অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে আর কি বলার থাকবে। পানি ঢুকে ব্যবসায়ীক সামগ্রীসহ জিনিসপত্র ক্ষতি হচ্ছে এ দায় কে নিবে। পৌর মেয়র আছেন বলে মনে হয় না। আমরা দাবি করি ব্যবস্থায় উদ্যোগ নিন, না হলে সড়কে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মকসেদ বলেন, কালিবাড়ি রোডের ড্রেনটি পরিস্কার করতে মেয়র ও কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সংস্কার না করায় ড্রেনগুলো উপচে পড়ছে। তাই আগের মতো পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমে যাচ্ছে।

হাজি পাড়া এলাকার বাসিন্দা ময়নুল জানান, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বেহাল দশার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাড়িতে হাঁটু পানি জমে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। র্দীঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় শহরবাসী ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যাটির সমাধানে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না।

সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তিসহ সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। অনেক এলাকায় বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তাই শহরবাসীর জন্য প্রয়োজন আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

প্যানেল মেয়র সুদাম সরকার জানান, এই মেয়রের সময়কালে কাউন্সিলররাও রীতিমত বিরক্ত। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি কোন ভূমিকা রাখছেন না। সে কারনে রাস্তাঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, প্রকল্প আসলে প্রতিটি কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর



শুক্রবার হাতিরঝিলে বন্ধ থাকবে যান চলাচল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো প্রতিপাদ্যে শুক্রবার (৭ জুন) ভোর ৫টায় ঢাকার হাতিরঝিলে ‌জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ শিরোনামে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ম্যারাথন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে জনসাধারণের সুবিধার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপির ট্র্যাফিক-তেজগাঁও বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ট্র্যাফিক-তেজগাঁও বিভাগ থেকে এ বিশেষ ট্র্যাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ডিএমপির ট্র্যাফিক তেজগাঁওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ম্যারাথন উপলক্ষ্যে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে শুক্রবার ভোর রাত ৩টা থেকে হাতিরঝিলে নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি প্রবেশ আটকানো হবে। হাতিরঝিল কেন্দ্রিক মোট ৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রোড ব্লকার দিয়ে ডাইভারশন দেওয়া হবে। এছাড়া ৩২টি পয়েন্টে ফোর্স মোতায়েন করে অলিগলি থেকে গাড়ি বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

জয়বাংলা ম্যারাথনে উপলক্ষ্যে সর্ব সাধারণের জন্য নির্দেশনা

মহানগর প্রজেক্ট, মালিবাগ, রামপুরা কিংবা বাড্ডা থেকে গুলশান, বনানী, উত্তরা যাওয়ার জন্য গুলশান বাড্ডা লিংক রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

রামপুরা, মালিবাগ কিংবা মহানগর প্রজেক্ট থেকে ফার্মগেট, রমনা কিংবা শাহবাগ আসার ক্ষেত্রে রামপুরা রোড হযে ওয়ারলেস গেট লেফট টার্ন করে মগবাজার মোড় ব্যবহার করে গন্তব্যে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো।

রমনা, শাহবাগ থেকে গুলশান, বনানী যাওয়ার জন্য মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে মহাখালী দিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। এছাড়াও এসব এলাকা থেকে রামপুরা, মালিবাগ বা হাতিরঝিলে বসবাসরত বিভিন্ন প্রজেক্টে যাওয়ার জন্য মগবাজার মোড়, ওয়ারলেস গেট হয়ে রামপুরা রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

গুলশান, বনানী, উত্তরা থেকে রামপুরা, বাড্ডা, আফতাবনগর কিংবা মালিবাগ যাওয়ার ক্ষেত্রে হাতিরঝিল ব্যবহার না করে গুলশান বাড্ডা লিংক রোড ব্যবহার করে বাড্ডা রামপুরা রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান 

মিরপুর, ক্যান্টনমেন্ট বা উত্তরা থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: কাকলী ক্রসিং লেফট টার্ন-গুলশান ২- গুলশান ১; ড্রপিং পয়েন্ট বিএসএসএফ কনভেনশন হল; পার্কিং- বিএসএসএফ কনভেনশন হল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডে এক লেন পার্কিং।

রমনা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: মগবাজার ফ্লাইওভার-লাভরোড-তিব্বত-মহাখালী ইউটার্ন-ফনিক্স লেফট টার্ন-তেজগাঁও লিংক রোড-আড়ং; ড্রপিং পয়েন্ট জিএমজি মোড়: পার্কিং- জিএমজি মোড় থেকে হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক (প্রয়োজনে জিএমজি মোড় থেকে শান্ত টাওয়ার পর্যন্ত এক লেন)-রাজউকের নগর ব্যবস্থাপনা ভবনের ডিজিটাল পার্কিংয়ে।

মালিবাগ, রামপুরা, গুলশান বাড্ডা লিংক রোড থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: মালিবাগ-রামপুরা-গুলশান বাড্ডা লিংক রোড-গুলশান ১ লেফট টার্ন-পুলিশ প্লাজা; ড্রপিং পয়েন্ট বিএসএসএফ কনভেনশন হল, পার্কিং- বিএসএসএফ কনভেনশন হল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডে এক লেন পার্কিং।

মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য পার্কিং ব্যবস্থা: নিকেতন ৩ নম্বর গেট এবং তার বিপরীত পাশের রাস্তা ও পুলিশ প্লাজার পেছনের রাস্তা থেকে বাড্ডা লিংক রোড রাস্তা।


আরও খবর



‘খালেদা জিয়ার সময় বন্যায় ১ লক্ষের বেশি লোক মারা গিয়েছিলো’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আপনাদের মনে করিয়ে দেই যারা নতুন প্রজন্ম তারা হয়তো জানেন না ১৯৯১ সালে তৎকালীন সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। বিএনপির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেই ৯১ এর বন্যায় খালেদা জিয়ার আগাম প্রস্তুতি না নেওয়ায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার লোক মারা গিয়েছিলো। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি ১ লক্ষ ৩৮ হাজার লোক বন্যায় মারা গিয়েছিলো। একই কবরের ভিতরে ৪-৫ জন করে পুতে রাখা হয়েছিলো। গরু-মহিষ নদীর ভিতর ভেসে গিয়েছিলো। শুধু মাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি না নেয়ার কারণে এই ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছিলো।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা অডিটরিয়ামে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, আইলা, সিডর, বুলবুল, রেমাল অনেক প্রকৃতিক দুর্যোগ এসেছে। আমাদের সরকার প্রতিটি দুর্যোগের আগে প্রস্তুতি এমন ভাবে নিয়েছেন যাতে মানুষ, জীব, গৃহপালিত পশু ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। আমাদের আগাম প্রস্তুতির কারণে কিন্তু ভয়ঙ্কর কোন ক্ষতি হয়নি। এটা একজন সফল রাষ্ট্র নায়কের সুচিন্তিত পরিকল্পনার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখানেই পার্থক্য শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী যারা ছিলেন তাদের মধ্যে। যে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় এটা রাষ্ট্র নায়কদের জানতে হয়। আর শেখ হাসিনা সেটা জানেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দ প্রাপ্ত মানবিক সহয়তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।


আরও খবর



জাতীয় চা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় চা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প।’ মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস’-এর মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সারা দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সোমবার (৪ জুন) মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, চা তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৮টি ক্যাটাগরিতে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন চা কোম্পানি বা ব্যক্তিকে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় চা দিবস

আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী ডাকল ‘আয় আয়’, ছুটে এলো খরগোশের দল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠ শুনেই ছুটে এলো খরগোশের দল। শনিবার (১৫ জুন) গণভবনে কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ শেষে খরগোশের ঘরের সামনে গেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসময় প্রধানমন্ত্রী আয় আয় বলে ডাক দিলে ছুটে আসে খরগোশের দল।

এদিকে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি অর্থনীতি উন্নত করে আমরা শিল্পায়নে যাব। এজন্য ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। এর বাইরে যত্রতত্র জমি নষ্ট করে শিল্প করা যাবে না। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের ফসল উৎপাদন করবো, যাতে কারও কাছে হাত পাততে না হয়। আমাদের খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা ৭৪ সালের। নগদ টাকায় কেনা খাদ্যও কিন্তু আসতে দেয়নি। কৃত্রিমভাবে সেখানে একটা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যেভাবেই হোক মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। সেটাতেও যখন সফল হয়নি, তারপরই তো ১৫ আগস্ট ঘটালো। এখনো কিছু লোকের সেই চেষ্টাটা আছে।

কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, সারের দাম আমরা কমিয়ে দিয়েছি। এখনো ব্যাপক পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছি। যেহেতু দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদার বিষয়, সে ক্ষেত্রে আমরা কখনো কার্পণ্য করি না, বাজেটে সব সময় আমরা ভর্তুকি দেই।

গাছ লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ুর ক্ষতি করে না। কিন্তু জলবায়ু অভিঘাতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। গাছ আমাদের প্রাণ, শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়। ফল ও ঔষধি গাছের উপকারিতা অনেক। এজন্য গাছ লাগাতে হবে। নদীর পাড়, উপকূলে এবং ঘরবাড়িতে গাছ লাগান। তবে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। শহরে ছাদেও ছোট ছোট গাছ লাগাতে পারেন। উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা। কৃত্রিম উপায়ে বৃক্ষরোপণ করা। ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে বাঁচাতে আমাদের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট করতে হবে।

মাটির গুণ রক্ষায় পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বারবার একই ফসল করতে করতে মাটির গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য মাঝখানে আরেকটা করলে মাটি পুষ্টি ফিরে পায়। যেমন- আমরা বারবার ধান করছি, এটার মাঝখানে আরেকটা করতে পারলে মাটির পুষ্টি বাড়বে।

শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এত ঝামেলা। আমরা কেন উৎপাদন করি না? ৪০ শতাংশ আমরা জোগান দেই। এটা আরও বাড়বে। পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষাণী অনেক টাকা আয় করে। ভুট্টাও চাষ হতো না, সেটাও করছি। আগে সবজি শীতকালে পাওয়া যেত, কিন্তু এখন আমরা গবেষণা করে বারোমাসি সবজির জাত উদ্ভাবন করেছি। এখন এটার ফল পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও কৃষক লীগের নেতারা অংশ নেন।


আরও খবর