আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মোশাররফ গাজী (৫৫) নামে এক মৌয়াল মারা গেছেন। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল এলাকার গজালমারী খালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে মৃত মৌয়ালের লাশ একই এলাকার কেওড়ার মাঠের ভারানি খাল থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।

এসময় কুমিরের আক্রমণ থেকে নদী সাঁতরে পালিয়ে অপর তিন জেলে প্রাণে বাঁচেন। তারা হলেন- সেকান্দর মল্লিক (২৫), জাকারিয়া শেখ (৪৫) ও গৌরপদ মন্ডল (৪৪)। মৃত মৌয়ালসহ এই তিনজনের বাড়ি খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন পূর্ব ঢাংমারী গ্রামে।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ওসি হাওলাদার আজাদ কবির স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, নিষিদ্ধ সময় মধু আহরণ করতে এই চার মৌয়াল বনে ঢুকে শনিবার (৮ জুন) ফিরে আসার সময় কুমিরের মুখে পড়েন। এদিন দুপুর ১টার সময় মোশাররফ গাজী (৫৫) কে হিংস্র কুমিরটি করমজলের গজালমারী খালে টেনে নিয়ে যায়।

ঘটনার সময় বাকি তিন মৌয়াল নদী সাঁতরে পালিয়ে যায়। পরে তিন ঘন্টা পর দুপুর ৩টায় করমজলের কেওড়ার মাঠে ভারানি খাল থেকে স্থানীয়রা তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত মোশাররফ গাজীর লাশ দাকোপ থানা পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবন কুমির

আরও খবর



ঈদযাত্রায় রাজধানী ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের আগে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ-সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। শুক্রবার (১৪ জুন) ভোর থেকেই রাজধানী ছাড়ছে নগরবাসী। এতে করে রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে রয়েছে যাত্রীদের ভিড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ। প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছেন অনেক যাত্রী। বসার জায়গা না পেয়ে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় যাত্রীদের।

এদিকে ভোর থেকেই বাস টার্মিনালগুলোতে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সড়ক-মহাসড়কে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ঈদের আগমুহূর্তের ভিড় আর দুর্ভোগ এড়াতে ঘরমুখো মানুষের অনেকেই আগেভাগে বাড়িতে রওনা হয়েছেন।

মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘরমুখো যাত্রীদের অভিযোগ স্বাভাবিক সময়ের থেকে ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে হালুয়াঘাট যেখানে আগে ভাড়া ছিল ৩শ টাকা এটি ঈদ উপলক্ষে এখন ৬শ টাকা নিচ্ছে পরিবহন কোম্পানিগুলো।

তবে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে রাজধানী বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা যায়। এতে অনেকে বাস, রিকশা ও সিএনজি থেকে নেমে ব্যাগ হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন টার্মিনালের দিকে। টার্মিনালগুলোর সামনে রয়েছে বাসের লম্বা সারি। এসব সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে দায়িত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।

নিউজ ট্যাগ: ঈদযাত্রা

আরও খবর



ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলতে পারে যতদিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে সৌদি আরবে এই মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে মুসলিমদের দ্বিতীয় বড় উৎসবের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৬ জুন রোববার দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এদিকে শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় (বাদ মাগরিব) বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন কুরবানির ঈদ পালন করা হয়। এই হিসেবে আগামী ১৭ জুন (সোমবার) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে দেশে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপনের বিষয়টি নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর।

অপরদিকে ঈদ কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিজীবীদের প্রায় সবাই ছুটি কবে থেকে শুরু, সেই হিসাব-নিকাশও করতে থাকেন। চলতি বছরের ঈদুল আজহায় টানা পাঁচ দিনের ছুটি মিলতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের। এর মধ্যে ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি আর ৩ দিন ঈদের ছুটি। আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে- এ হিসাব করে সরকারি ছুটির তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, কুরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ১৬ জুন (রোববার) থেকে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। দিনের হিসাবে যা সর্বোচ্চ ৭০ দিন হতে পারে। তবে এর মধ্যে আরবি মাস জিলকদ বা জিলহজের কোনো একটি বা দুটিই যদি ২৯ দিনের হয়, তাহলে ৭০ দিনের কম সময়ের মধ্যেও (৬৯/৬৮ দিন) কুরবানির ঈদ হতে পারে।


আরও খবর



ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হত্যার হুমকি দিচ্ছে : আয়ানের বাবা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে মারা যাওয়া শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ অভিযোগ করেছেন, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ইউনাইটেড গ্রুপ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমকি দিচ্ছে। একাধিকবার বাসায় সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সেজন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান তিনি।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়ান হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

শামীম আহমেদ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এই পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা বিচারের আওতায় আনা হয়নি। বিএমডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরস্পর যোগসাজশ করে দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আয়ানের মৃত্যুর পর ইউনাইটেড হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছিল। যা ছিল কেবল লোক দেখানো। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইউনাইটেড হাসপাতালকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করছে।

আগামী ৭ দিনের ভেতর অভিযুক্ত দুই ডাক্তার সাঈদ সাব্বির ও তাসনুভা মাহজাবিনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব যে এই ঘটনার বিচার পাবো। যদি ৭ দিনের ভেতর অভিযুক্ত দুই ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবো। ইউনাইটেড হাসপাতালের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করবো।

আয়ানের বাবা আরও অভিযোগ করেন, বাড্ডা থানা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চারটি তথ্য বারবার চাহিদা পত্র দেওয়া হলেও সেগুলো জানানো হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ, ডিবি, ডিজিএফআই সকলেই আমাদেরকে একটি গোলকধাঁধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা একটি পক্ষকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করছে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার বিচার প্রার্থনা করছি। যদি আমার ছেলে হত্যার বিচার না পাই তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারও হবে। তাই আমি সবার প্রতি অনুরোধ জানাই যেন বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিশু আয়ানের দাদা সালাম কবির। তিনি বলেন, আমরা যেন এই মামলার থেকে সরে আসি সেজন্য বারবার সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে আমার সুস্থ নাতিকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে আমরা আমরা অনশন কর্মসূচি পালন করবো।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সুন্নাতে খতনার (মুসলমানি) জন্য আয়ানকে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার অভিভাবক। সকাল নয়টার দিকে শিশুটিকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। তবে অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেসথেসিয়া (জেনারেল) দিয়ে চিকিৎসক আয়ানের খাতনা করান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে জ্ঞান না ফেরায় তাকে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় ২ ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ।


আরও খবর



দুদকে দেওয়া চিঠিতে বেনজীরের নতুন আবদার

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরেও নির্ধারিত সময়ে (২৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন বেনজীর। যদিও দুদক তার আবদার নাকচ করে দিয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিলেন বেনজীর। সেখানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পাশাপাশি ক্রোক ও ফ্রিজ করা সম্পদ সম্পূর্ণ বৈধ বলে দাবি করেন বেনজীর।

বেনজীরের চিঠির বিষয়ে রোববার (২৩ জুন) দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের জানান, আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বেনজীর। সেখানে তিনিসহ তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের সম্পদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে, চিঠিতে তিনি নিজের অবস্থান জানাননি।

বেনজীরের চিঠির বক্তব্য গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ অনুসন্ধান টিমের এখতিয়ার। তারা স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান করছেন। তার বক্তব্য গ্রহণ করা যায় কি না এটা অনুসন্ধান টিম সিদ্ধান্ত নেবে। টিম যে সুপারিশ করবে, তার ভিত্তিতে দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।

খোরশেদা ইয়াসমীন আরও বলেছেন, বেনজীরের অনুরোধে তাকে আরও ১৬ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি দুদকে আসেননি। তাকে আর সময় দেওয়া হবে না, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বেনজীরের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে আজ (সোমবার) দুদকে হাজির হতে বলা হলেও তারাও আসেননি। সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিকেল আড়াইটা পর্যন্ত তারা দুদকে যাননি।

যদিও এ বিষয়ে দুদক সচিব রোববার বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেনজীরের স্ত্রী ও কন্যারা উপস্থিত না হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, গত ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। এতে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হতে বলা হয়। পরে গত পাঁচ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে হাজির হতে আরও সময় চান বেনজীর। সেই হিসেবে বেনজীরকে ২৩ জুন এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে ২৪ জুন দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বেনজীর পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে দুদক। এখন পর্যন্ত যেসব সম্পদ পাওয়া গেছে, তা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সর্বশেষ বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকায় আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় দুদক। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। রূপায়ন লিমিটেড স্কয়ার নামের ১৪ তলা ভবনে অবস্থিত বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।

বেনজীর পরিবারের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর আগে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সম্প্রতি বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।


আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর