বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় একটি আবাসিক
হোটেল থেকে আশামণি (২০) ও তার এক বছরের ছেলে আবদুল্লাহ আল রাফি’র মাথাবিহীন লাশ
উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী আজিজুল হককে (২৩) আটক করেছে পুলিশ। তিনি
চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। তার বাড়ি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া।
আশা মনির লাশ হোটেলের বাথরুমের ভেতরে বিবস্ত্র
অবস্থায় পড়েছিল। আর তার ১ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাফির মাথাবিহীন লাশ বস্তায়
ভরে খাটের নিচে রাখাছিল।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ দুটি লাশ
উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন
বলে পুলিশ জানায়।
নিহত আশামনির ভাই সনি জানান, সেনা সদস্য
আজিজুল হকের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়। দুই মাসের ছুটি নিয়ে সে কিছুদিন
আগে বগুড়ায় আসে। এরপর তার ভগ্নিপতি আজিজুল গত বৃহস্পতিবার শহরের নারুলি এলাকায় শ্বশুর
বাড়িতে বেড়াতে আসে তিনি। ১ জুন বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি
থেকে বের হয়ে যান আজিজুল হক। ২ জুন খুন ও আটক হওয়ার খবর পান তারা।
”শুভেচ্ছা” হোটেলের ব্যবস্থাপক
রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর আজিজুল হক তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী সন্তানকে
নিয়ে দোতলার একটি কক্ষে ওঠেন। এরপর রাত ১১টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান। তিনি
বলেন, আজ (রবিবার) সকাল ১১টার দিকে আজিজুল হক হোটেলে কক্ষের ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন।
কিন্তু তখন তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর আমরা তাকে আটক
করে পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ওই কক্ষের ভেতরে আজিজুল হকের স্ত্রীর গলকাটা বিবস্ত্র
লাশ এবং বাথরুমে বস্তাবন্দী মাথাবিহীন সন্তানের লাশ দেখতে পান।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান,
সেনা সদস্য আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তার দাবি সে তার সন্তানের মাথা পাশের করতোয়া নদীকে ফেলে দিয়েছে। নিহত শিশুর মাথা খোঁজা
হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার সুদীপকুমার চক্রবর্ত্তী
জানান, পুলিশ সদস্যারা চেষ্টা করে শিশুর মাথা উদ্ধার করতে পানেনি। তবে রাজশাহী ফায়ার
সার্ভিস থেকে ডুবুরি চাওয়া হয়েছে। তারা মাথা উদ্ধারে অভিযান চালাবে।