আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আইফোন ১৫ সিরিজ উন্মোচন করলো অ্যাপল

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপল পার্কে আইফোন ১৫ সিরিজের পাশাপাশি অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৯, অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ২, আইওএস ১৭ এবং ওয়াচওএস ১০ উন্মোচন করা হয়।

আইফোনের নতুন এই মডেলে বহুল জনপ্রিয় টাইপ সি চার্জার (ইউএসবি-সি) ব্যবহার করা যাবে।

আইফোন ১৫ এর দাম শুরু ৭৯৯ মার্কিন ডলার থেকে, আইফোন ১৫ প্লাসের দাম শুরু ৮৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। এ ছাড়া আইফোন ১৫ প্রো ১০৯৯ ডলার এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের দাম ১২৯৯ ডলার থেকে শুরু হবে।

আইফোন ১৫ সিরিজে থাকছে এ১৭ বায়োনিক চিপসেট। আইফোন ১৫-এমিউট বাটনের পরিবর্তে থাকছে নতুন অ্যাকশন বাটন। এ ছাড়া প্রিমিয়াম দুটি মডেলের ফ্রেমে থাকছে স্টেইনলেস স্টিলের বদলে টাইটানিয়াম চেসিস।


আরও খবর
আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচার ফাঁস

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে কোন মতেই ক্ষমতা আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

তিনি আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে "সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম - মুক্তিযুদ্ধে ৭১" এর "ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের" উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আলম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সারওয়ার আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ম, হামিদ এবং মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, "আমি বিশ্বাস করি আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবো, যারা চক্রান্ত করবে তাদের বিরোধিতা করবো।  সম্মিলিত কাজ করে যেতে হবে।"

জাতীয় সম্মেলনে যোগদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছে তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই দিকে  খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে এবং স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরী সহ সবাইকে  ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও  অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতি বলেন, "দীর্ঘ সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে আপনারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই আন্দোলনের মধ্যমণি এবং নেতা।"

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক খেলা হয়েছে, অনেক নেতৃত্ব এসেছে কিন্তু এই খেলায় বিজয়ী হচ্ছেন জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে ধারাবাহিকভাবে রাজনীতি করতে হয় ।

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে কোন রসায়ন কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পিতা তিনি মানুষের অন্তরের কথা তিনি বুঝতেন এবং জানতেন, তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে যে দুর্গম পথের যাত্রা শুরু হয়েছিল বা ৫২-এর ভাষা আন্দোলন ৫৪-এর যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬এর ছয় দফা, ৬৯এরনির্বাচন ও ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটে।

তিনি বলেন, "আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা অনেক মানবিক ছিলেন। যারা ক্ষুধার্ত তাদের অন্ন দিতেন। তিনি প্রতিটি ধাপে ধাপে  বাঙালি চেতনাকে লালন করেছেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার এই জাতীয়তাবাদী মনোভাব,  সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ সবকিছুতেই ছিলেন অন্যান্য  সাধারণ ।"

রাষ্ট্রপতি বলেন, "একটি অঙ্গুলির হেলানে সমস্ত জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হয় এরকম উদাহরণ পৃথিবীতে আমরা খুঁজে পাই নাই।"

তিনি বলেন দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধানকে তছনছ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পরাজিত  শত্রুরাই  এসব করেছে, তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ।

১৯৭১ সালের গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলার মাটিতে সংগঠিত এই গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর জঘন্যতম বৃহৎ গণহত্যা।

১৯৭১ সালের ১৩ জুন বিশ্ব সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাস এর লেখা যুক্তরাজ্যের "দি সানডে টাইমস" পত্রিকা "গণহত্যা" বিস্তারিত বিবরণ ছাপা হয়েছে, উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো করা প্রয়োজন।

এই দাবি নিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ও এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে এখন মর্যাদার আসনে আসীন।

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উপর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত "এবহড়পরফব ১৯৭১" গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস, দোয়া ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে একটি জশনে জুলুস বের হয়। জুলুসটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৈরতলা পীর কামেল হযরত শেখ জালাল শাহ (রহঃ) মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

পরে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলার প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা সুফী আহমদ শাহ মোরশেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হানিফসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 এ সময় বক্তারা বলেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের শুভাগমন দয়াময় আল্লাহতাআলাকে পাওয়ার পরম শোকরিয়া সর্বোচ্চ ঈদে আজম। সৃষ্টির কল্যাণে আজকের এই দিনেই বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন।

বক্তারা, সত্য ও মানবতার মহান রাসুলের আদর্শ অনুসরণ করে একটি কল্যাণময়, শান্তিপূর্ণ পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এ সময় বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও উপজেলার শাখার নেতৃবৃন্দসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নরসিংদীতে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে দৈনিক আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোহনা টিভির বেলাব প্রতিনিধি মো: আশিকুর রহমান সৈকতের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা জান্নাত তাহেরা।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেলাব থানা অফিসার ইনচাজ মোঃ তানভীর আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদা, বেলাব সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সাফি, বেলাব প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল হক, সভাপতি স্বপন মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আলী হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রমজান আলী জুয়েল, বেলাব প্রেসক্লাবের সদস্য বাদল মিয়া, শফিকুল ইসলাম খান ,আলমীগর পাঠান, রেজাউল আলম বিপ্লব, আমলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজিব ভূইয়া,নরসিংদী জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য শাহিনুর আক্তারসহ বেলাব উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। পরে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



১৬ দফা দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

১৬ দফা দাবি জানিয়ে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) 'ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি'।

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম এমদাদুল আলম এবং কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. ওয়ালিদ হাসান মুকুট স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ১৬ দফা দাবীসমূহ বাস্তবায়নের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৩০ জুলাই থেকে অদ্যাবধি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতির কর্মসূচী পালন করছে ইবি কর্মকর্তারা। শোকের মাস আগষ্ট মাসে কঠোর কোন কর্মসূচী প্রদান করেনি ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি। তবে শীঘ্রই তাদের দাবীসমূহ বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচী প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে তারা ভিসিকে উদ্দেশ্য করে বলে, এই দাবী সমূহ আইনগতভাবে ন্যায্য হওয়া সত্ত্বেও আপনি তা পুরণ না করে বরং জিয়ে রেখে আমাদেরকে আন্দোলনের মুখে ঠেলে দিয়ে একদিকে পরোক্ষভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার ইন্ধন জোগাচ্ছেন অন্যদিকে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন বলে আমরা মনে করি। আপনার এহেন কর্মকাণ্ডে আমাদের মধ্যে চরমক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে দাবীসমূহ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত "ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি' আগামী ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতির কর্মসূচী পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, আমাদের বঞ্চিত দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছি। অথচ তারা যেসব কর্মকাণ্ড করছে বিশ্ববিদ্যালয় একটি শান্তির জায়গা থেকে সংকটের দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি অথচ তারা তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন না করে পরিকল্পিতভাবে এ সরকারের বদনাম যেন হয় সে জন্য তারা ক্যাম্পাসকে একটি অস্থিতিশীল জায়গায় ঠেলে দিয়েছে। এ জন্য আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, আমি সিন্ডিকেটে যাওয়ার সময় ভিসি বাংলোর সামনে থেকে কর্মকর্তারা আমাকে নিয়ে আসছে। আমি এখন অফিসেই আছি। কর্মকর্তারা আমাকে ঘেরাও করে রেখেছে। তারা প্রশাসন ভবনের নিচেই আছে। আমার মন ভালো নেই, আর কিছু বলতে পারছিনা।

এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

১৬ দফা দাবিসমূহ হলো:  ১. অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় চাকরি হতে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। ২. সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সেশন বেনিফিট বহাল রাখতে হবে। ৩. উপ-রেজিস্ট্রার হাসিনা মমতাজকে চাকরি অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। ৪.GST এর অধীনে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে পোষ্যদের ভর্তি করা হয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির আলোকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পোষ্যদেরকে ভর্তি করতে হবে। ৫. কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর না হওয়া পর্যন্ত  ৮(II) ধারা বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬.সিনিয়র ইমাম মোঃ মনিরুজ্জামান এবং মোঃ বেলায়েত হোসেনগণের পদোন্নতি ও বাতিলকৃত উচ্চতর স্কেল প্রদান করতে হবে। ৭.প্রকৌশল অফিসের ২জনের পদোন্নতির সমস্যা সমাধান করতে হবে। ৮. বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতাবস্থায় মৃত্যুজনিত কারণে কর্মচারীবৃন্দের পরিবারের যোগ্যতম ব্যক্তিকে সিণ্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মৃত্যুর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যেই চাকুরী প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৯. সিণ্ডিকেটের অনুমোদিত কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালার বিশেষ টিকার আলোকে ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শাখা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। ১০. চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্মরত সকল স্তরের টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করতে হবে। ১১. অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে কর্মচারীবৃন্দের অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে। ১২. পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করতে হবে। ১৩. অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় গাড়ী চালকদেরকে সাত ধাপের সুবিধা বাস্তবায়ন করতে হবে। ১৪. সাধারণ কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালানুযায়ী বছরে চার বার পদোন্নতি/আপগ্রেডিং এর মাধ্যমে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। ১৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যুগোপযোগী অর্গানোগ্রাম করতে হবে। ১৬. ৬ জন কর্মকর্তার ৭ বছর পূর্তিতে পদোন্নতি/ আপগ্রেডিং কার্যকর করার বিষয়ে অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সুপারিশ দ্রত বাস্তবায়ন করতে হবে।


আরও খবর



শান্ত-মিরাজের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের পুঁজি ৩৩৪

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ওপেন করতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চার নম্বরে নেমে একই পথে হাঁটলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টিকে থাকার ম্যাচে বাংলাদেশ গড়ল রেকর্ড সংগ্রহ।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রবিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ইতিহাসে যা তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে এটি। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছে টাইগাররা। সুপার ফেরের আশা জিইয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।

এমন ম্যাচে দারুণ খেললেন শান্ত ও মিরাজ। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৯৪ রানের জুটি উপহার দিয়েছেন তারা। মিরাজ রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ায় এই জুটির ছেদ পড়ে।

মাঠ ছাড়ার আগে মিরাজ ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলেছেন ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। শান্ত ১০৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ১০৪ রান। দুজনই পেয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। আর ওয়ানডেতে এনিয়ে পঞ্চম বারের মতো একই ম্যাচে বাংলাদেশের দুজন ব্যাটার পেলেন সেঞ্চুরি।

শেষ দিকে সাকিব আল হাসান ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেছেন। ৪টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছে তিনি। মুশফিকুর রহিম খেলেন ১৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস।

এ ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন ও হাসান মাহমুদকে সুযোগ দেওয়া হয়।

ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে খেলতে নামেন মিরাজ। এই পরিকল্পনা বেশ বাজেও দেয়। নাঈম ও মিরাজ উদ্বোধনী ‍জুটিতে যোগ করেন ৬০ রান।

নাঈম শুরু থেকেই দারুণ খেলছিলেন। তবে পাওয়ার প্লের শেষ বলে মুজিব উর রহমানের গুগলিতে বোল্ড হন তিনি। ৩২ বলে ২৮ রান করে ফেরেন। তিন বল পরই তাওহিদ হৃদয়কে হারায় বাংলাদেশ।

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়েছিলেন হৃদয়। উঠে এসেছিলেন চার নম্বরে। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি এই ব্যাটার। গুলবাদিন নাইবের বলে স্লিপে হাশমতউল্লাহ শহীদিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শূন্য রানেই। তাতে ১০.৩ ওভারে দলীয় ৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটে হারায় বাংলাদেশ।

এরপর মিরাজ ও শান্ত ধাক্কা সামলে দারুণ এক জুটি উপহার দেন। এশিয়া কাপের যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডটা এখন তাদের। আগের সর্বোচ্চ ছিল ইমরুল কায়েস ও জুনাইদ সিদ্দিকের ১৬০, ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১০ সালে।

শান্ত-মিরাজ জুটিতে ভর করে এশিয়া কাপে দলীয় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২০১৪ সালে। মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩২৬ রান করেও অবশ্য হেরেছিল বাংলাদেশ।

আর আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৪ উইকেটে ৩০৬। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে সেই ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল ৮৮ রানে।


আরও খবর