আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার লিজকৃত জমি দখলের চেষ্টা ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার নারিশা মৌজার ২২নং খতিয়ানের ১৩৮ নং এস, এ দাগের এবং ১২৬, ২৫৪ ও ২৫৫ আর, এস এর দাগের ৫১ শতাংশ জমি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম খলীল সবুজের নামে লিজ থাকার পরেও স্থানীয় লুৎফর রহমান ও তার ছেলে রাহাত বেপারী, আব্দুস সালাম ওরফে সেলিম ও তার ছেলে নাদিমুল ইসলাম ও তাদের আত্মীয় আব্দুর রউফের চার ছেলে মো. আমিন, হাসান আল মাহমুদ লিটন, আবু সাঈদ, আবু বকর (আবুল কালাম) এর ছেলে সামিউ সম্মিলিতভাবে সরকারি সাইনবোর্ড ভেঙে বাঁশের খুটি দিয়ে ঘর তুলার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন সময়ে জাল দলিল ও জাল নামজারি তৈরি করে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে।

বুধবার (২২ মে) বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম খলীল সবুজ বলেন, আমিন গং এরা দীর্ঘ সময় ধরে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের উপর জুলুম, লাঞ্ছনা ও অত্যাচার করে আসছে। গত ২৯ এপ্রিল নারিশা বাজারে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ মেরে ফেলার চেষ্টা করে, তখন স্থানীয়রা তা প্রতিহত করে। পরে আমি এবিষয়ে দোহার থানায় অভিযোগ করি। বিগত সময়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুপারিসক্রমে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার আমাকে ৫১ (একান্ন) শতাংশ জমি লিজ দেয়, সেখানেও আমাকে যেতে দেয়নি এই সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা। তারপর গত ৮ মে আমার সেই জমিতে থাকা সরকারি সাইনবোর্ড ভেঙ্গে বাঁশ দিয়ে ঘর তুলে।

তিনি বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার লিখিত পেয়ে পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন খান ২২/৭৭ নথিভুক্ত ফাইলটি নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইতোপূর্বে দোহার সদর মেঘুলা ভূমি অফিসার মো. মিজানুর রহমান তদন্ত করেন।

হামলার বিষয়ে ফুলতলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসীম জানান, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তার উপর হামলা চেষ্টার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায় যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম খলীল সবুজ ১৯৭১ সালে বিএলএফ মুজিব বাহিনী ভারতের আসাম রাজ্যের হাফলং এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় চর বাঁউশিয়ায় শহীদ কমান্ডার একেএম নজরুল ইসলাম কিরনের সাথে সম্মিলিতভাবে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিকায় তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও স্বাধীনতার চেতনা উজ্জিবিত রাখার লক্ষ্যে কাগজে কলমের লেখক ও গবেষক।


আরও খবর



হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

হজের খুতবায় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি।

খুতবায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা যুদ্ধের কবলে। তারা বিপর্যস্ত। তাদের খাওয়ার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পৃথিবীর সবধরনের আরাম ও সুখ থেকে তারা বঞ্চিত। তাদের জন্য দোয়া করুন। বিশ্ব মুসলিমের কাছে এটা তাদের পাওনা।

তিনি বলেন, যারা ফিলিস্তিনিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন, সহযোগিতার চেষ্টা, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করছেন, করছেন তারাও দোয়ার হকদার। এছাড়াও যারা হজযাত্রীদের সেবা করছেন তারাও দোয়ার হকদার।

হজের খুতবায় তিনি আরও বলেন, ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সরল পথ দেখায়।

অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবেন। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন।

তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। তারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।


আরও খবর
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪




মাছ ধরতে টোপ দিতে হয়, কালো টাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কালো টাকা সাদা করার প্রসঙ্গে আ.লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাছ ধরতে আধার (টোপ) দিতে হয়। এটা সেরকম একটা ব্যবস্থা। এতে অন্তত টাকাটা উদ্ধার করা যাবে।

শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আ.লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা প্রশ্ন এসেছে কালো টাকা নিয়ে। অনেকে বলেন, তাহলে আর কেউ ট্যাক্স দেবে না। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। এটা শুধু কালো টাকা নয়, জিনিসের দাম বেড়েছে। এখন সরকারি দামে কেউ জমি বিক্রি করেন না, বেশি দামে করেন। বাড়তি টাকা গুঁজে রাখেন। গুঁজে যাতে না রাখেন, সামান্য কিছু একটা দিয়ে টাকাটা পথে আসুক, জায়গা মতো আসুক। তারপর তো ট্যাক্স দেবেই। আমি ঠাট্টা করে বলি, মাছ ধরতে তো আধার দিতে হয়। সে রকম একটা ব্যবস্থা এটা। অন্তত টাকাটা উদ্ধার হোক। এটা তত্ত্ববধায়ক সরকার শুরু করেছে।

এ ছাড়া বাজেট ঘাটতি নিয়ে অনেকে কথা বলেন। সব সময় আমরা বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশ রাখি। সব দেশেই রাখে, উন্নত দেশেও রাখে। আমেরিকায় খোঁজ নেন কত রাখে?, যোগ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা গ্রুপ আছে, যাদের কিছুই ভালো লাগে না। তারা ভালো না লাগা নিয়েই থাকুক। ওগুলোতে কান দেয়ার দরকার নেই। যখন অস্বাভাবিক সরকার আসে, তখন তারা খুব খুশি হন। আর জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাদের নাকি কিছুই হয় না। মূল্যায়ন হয় না। এখন মূল্যায়নটা করব কীভাবে? তাহলে একটা দাঁড়িপাল্লায় উঠিয়ে ঠিক করে মাপব নাকি? মূল্যায়ন তো দেখেছি সেই তত্ত্ববধায়ক আমলে, কীভাবে তেল মারে! ওই তেল মারা গোষ্ঠী আমাদের দরকার নেই। আমাদের শক্তি জনগণ। জনগণ আমাদের ভোট দেয়, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেভাবেই কাজ করি, যাতে জনগণের কষ্ট না হয়। আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি জনগণ। অনেক জায়গায় অনেকে খেলতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জনগণই আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, বিশ্বাস করেছেন। তাদের ভোটেই আমরা টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় থাকতে পেরেছি।


আরও খবর



কবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’? এ নামের অর্থ কী?

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আগামী ২৬ মে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বুধবার (২২ মে) এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, বর্তমান প্রেডিকশন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা অঞ্চলের দিকেই। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত গতিপথ পরিবর্তন করছে; রাতে একটা গতিপথ থাকছে, আবার সকালে আরেকটা। তাই লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত এমনই থাকবে। নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তখন গতিপথ স্থির হবে। সেই সময় স্পষ্টভাবে বলা যাবে, এটা কোন এলাকায় বা স্থানে আঘাত হানতে পারে।

তিনি বলেন, ২২ মে লঘুচাপ তৈরি হয়ে ২৩ বা ২৪ মে-র মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

তখন এর নাম হবে রেমাল। এ নামটি ওমানের দেয়া। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামের অর্থ বালির কণা।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নেপথ্য

এক সময় ঝড়গুলোকে বিভিন্ন নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হতো। কিন্তু সেসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো।

 নামবিহীন থাকলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি, ধরন সম্পর্কে তথ্য দ্রুত জানা যায় না। এর আঘাত হানার সময় বা তারিখ বের করে পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করতে হয় আবহাওয়াবিদদের। এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।

যেভাবে নামকরণ করা হতো

গত কয়েক শতাব্দী ধরে আটলান্টিক ঝড়ের নাম দেয়া হয়ে আসছে যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এরপরে আবহাওয়াবিদরা মিলে মেয়েদের নামে ঝড়গুলোর নামকরণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৫৩ সালে US Weather Service আনুষ্ঠানিকভাবে Q, U, X, Y, Z ব্যতীত A থেকে W পর্যন্ত আদ্যক্ষরে মেয়েদের নামে ঝড়ের নামকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ নিয়ে ৬০ এবং ৭০ এর দশকে নারীদের প্রতিবাদের মুখে অবশেষে ১৯৭৮ সালে ছেলেদের নামেও ঝড়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বছরের প্রথম ঝড়ের নাম রাখা হতো A আদ্যাক্ষর দিয়ে, দ্বিতীয় ঝড়ের নাম রাখা হতো B আদ্যাক্ষর দিয়ে, এভাবে চলতে থাকত। আবার জোড় সালের বিজোড় ঝড়গুলোর (মনে করি ২০১৪ সালের ৩য় ঝড়) নাম রাখা হতো ছেলেদের নামে আর বিজোড় সালের বিজোড় ঝড়গুলোর নাম রাখা হতো মেয়েদের নামে। এক বছরে ২১টির বেশি হারিকেন উৎপন্ন হলে (২০০৫ সালে যেমন হয়েছিল), গ্রিক বর্ণমালা অনুযায়ী নামকরণ করা হয়: হারিকেন আলফা, বিটা ইত্যাদি।

নাম কীভাবে ঠিক করা হয়?

এখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শত শত কেন্দ্র, উপকূলীয় ঘাঁটি ও সমুদ্রে অবস্থিত জাহাজগুলোতে ঝড়ের তথ্য পাঠানোর জন্য যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত ও সহজে উচ্চারণযোগ্য নাম ঠিক করা হয়। পুরনো জটিল পদ্ধতিতে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ দিয়ে নির্ণয়ের চাইতে এই প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ এবং এতে ভুল কম হয়। ১৯৫৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টারের তৈরি তালিকা থেকে আটলান্টিক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়।

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নারীসুলভ নাম দেওয়া শুরু হয়। তবে এ প্রক্রিয়াকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকরী করে তোলার জন্য আবহাওয়াবিদরা একটি তালিকা থেকে নাম বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেন বলে ডব্লিউএমও'র ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়।

নামকরণের ক্ষেত্রে দেশগুলোকে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়, তা হলো- নামটি যেন লিঙ্গ নিরপেক্ষ হয় এবং কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়। এছাড়াও, নামটি হবে সর্বোচ্চ আট অক্ষরের। কোনো সদস্য দেশের অনুভূতিতে আঘাত করে বা তাদের প্রতি অপমানসূচক কোনো নামও রাখা যাবে না। যদিও প্যানেলের হাতে ক্ষমতা থাকে প্রস্তাবিত কোনো নাম প্রত্যাখ্যান করে দেয়ার, তবুও চূড়ান্ত নামকরণের পরে কোনো সদস্য দেশ আপত্তি জানালে তা পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন হতে পারে। আর একবার যে নাম ব্যবহার করা হয়, তার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না কখনো।


আরও খবর



জামালপুরে হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইজিবাইক চুরির পর চালক লাইজু মিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত এ রায় ঘোষণা করেন৷

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা মো. মনি তাহেরি, মো. রুবেল মিয়া, মো. জাকির হোসেন ও সোহাগ। এর মধ্যে সোহাগ ও মো. জাকির হোসেন পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর সরিষাবাড়ীতে ইজিবাইক চুরির পর চালক লাইজু মিয়াকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে আসামিরা। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে রুবেল মিয়া ও মনি তাহেরকে গ্রেপ্তার করে৷ পরে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম আক্কাস বলেন, মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনের উপস্থিতিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছে।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ, শঙ্কায় নিপুণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক ঘোষণার মাধ্যমে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এরপর আর সেভাবে সমিতিতে দেখা যায়নি জায়েদকে। গত ১৯ এপ্রিলে মিশা সওদাগর ও ডিপজল পরিষদের জেতার পর শোনা যাচ্ছিল সমিতিতে সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ। অবশেষে সেটাই হয়েছে।

জায়েদ খানের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছে সমিতির বর্তমান কমিটি। গেল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব জানান, জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিল তার যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপনেও বিষয়টি জানিয়েছে শিল্পী সমিতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিশা সওদাগর বলেন, সর্বসম্মতিক্রমেই জায়েদ খানের পদটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমিতির নতুন মুখপাত্র করা হয়েছে অভিনেতা রুবেল ও ডি এ তায়েবকে। এ কারণে বিষয়টি প্রথমে জানিয়েছেন তায়েব।

এর আগে ২০২৩ সালে জানানো হয়েছিল, কোনো রূপ সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদক নিপুণের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। এ কারণে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। নিপুণের এমন সিদ্ধান্তকে দ্বৈতনীতি বলে অ্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, তখন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এত দিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা দ্বৈতনীতি! আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।

জায়েদ এটাকে নোংরা মানসিকতা উল্লেখ করে বলেন, শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তার কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভাশেষে ডিএ তায়েব বলেন, নিপুণের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।


আরও খবর